রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউশন থেকে ওই যুবক প্রথমে রিকশ করে দুই ভাই-বোনকে বিটি রোড নিয়ে আসে। এরপর সে একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে। ভাড়া গাড়ি করে হাওড়ায় পৌঁছয়। অসুস্থ বাবা, মায়ের কাছে যাচ্ছি মনে করে দুই খুদে কিছু বলেনি। হাওড়ায় বিভিন্ন পার্কে তাদের নিয়ে সে ঘুরে বেড়ায়। কোনও বাড়িতে তাদের দু’জনকে আটকে রাখেনি। রাতে তাদের শুধু কয়েকটি বিস্কুট, আইসক্রিম, লজেন্স জাতীয় খাবার দিয়েছে। ভাত, রুটি জাতীয় কোনও খাবার দেয়নি। ওদের সঙ্গে অপহরণকারী যুবকই সব সময় ছিল। পার্কে নিয়ে গিয়ে সে দু’জনের সঙ্গে খেলা করেছে, গল্প করেছে। ফলে তারা দু’জনে যে অপহৃত হয়েছে, তা টেরই পায়নি খুদেরা। সময় সময় সে ফোনে বাবার সঙ্গে কথাও বলিয়ে দিয়েছে। মহম্মদ এহসান বলেন, আমি নিজের কাজ নিয়ে সব সময় থাকি। আমার তো কোনও শত্রু নেই। কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা, গণ্ডগোল হয়নি। এই ধরনের ঘটনার আগে কেউ আমাকে কোনও হুমকি দেয়নি। তাহলে কে এমন কাজ করল? আমার পাঁচ বছরের ছোট মেয়ে রাত সাড়ে নটা হলেই ঘুমিয়ে পড়ে। সেদিন রাত আড়াইটে পর্যন্ত ওই অপহরণকারীর সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছে ভাবলেই আমার অবাক লাগছে। তিনি আরও বলেন, বড় ছেলে একাই এতদিন স্কুলে যেত। এবার থেকে ওকে একা আর স্কুলে পাঠাব না। এই ঘটনার পর আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই, এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের পুলিস খুঁজে বের করে শাস্তি দিক। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অপরিচিত যুবক টিউশন শিক্ষকের কাছে গিয়ে দুই খুদের নাম ধরে ডেকেছিল। শুধু তাই নয়, মোবাইলে তাদের মায়ের একটি ছবিও দেখিয়েছিল। ফলে সহজেই তারা ওই অপরিচিত যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, দুজনের নাম ওই অপরিচিত যুবক জানল কী করে? কে তাদের নাম বলে দিয়েছিল? আর ওদের মায়ের ছবিও কী করে ওই যুবকের মোবাইলে এল? তাহলে এই ঘটনার পিছনে ওই পরিবারের কাছের লোকজন রয়েছে কি না, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।