পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই বলাগড়ের বেনালিচর ও মঙ্গলদ্বীপচর থেকে মাটি কেটে স্থানীয় গুপ্তিপাড়া এবং কালনার সাতগাছিয়ার ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা অলক কুণ্ডু বলেন, প্রতিদিন ভোর রাতে ২০ থেকে ২৫টি ট্রলার এসে চর থেকে মাটি কেটে গুপ্তিপাড়া ও সাতগাছিয়ার ইটভাটায় সরবরাহ করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন ও পুলিসকে জানিয়েছি। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে চর থেকে মাটি কাটা বন্ধ করার দাবিতে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভও দেখাই। পুলিস প্রশাসন ও শাসক দলের মদতে মাটি মাফিয়ারা বিনা বাধায় এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিনও প্রায় ২০টি ট্রলার মাটি কাটার জন্য আসে। শেষ ট্রলারটি ভর্তি করে চর থেকে কিছুটা যাওয়ার পর অতিরিক্ত লোড থাকায় সত্যপালের ইট ভাটার পেছনে গঙ্গায় ডুবে যায়। ওই সময়ে ট্রলারটিতে ১২ জন ছিলেন। ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর সাত জন সাঁতরে পাড়ে ফিরে আসেন। পরে আরও চার জন পাড়ে ফিরলেও, প্রদীপ মাণ্ডি নিখোঁজ হয়ে যান। দুর্ঘটনার বিষয়টি নজরে আসার পরেই এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে যান। প্রথমে তাঁরা নিখোঁজ ব্যাক্তির সন্ধানে তল্লাশি চালান। পরে পুলিসও একপ্রস্থ তল্লাশি চালায়। এই ঘটনার পরেই অবিলম্বে চর থেকে মাটি কাটা বন্ধ করার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বলাগড়ের বিধায়ক অসীম মাঝি। তিনি বলেন, এদিন মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলার ডুবে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে শুনেছি। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। অসীমবাবু বলেন, অবৈধভাবে চর থেকে কাটা বন্ধ করার জন্য আমরা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সাধারণ মানুষের মতো আমরাও চাই কালনা থেকে আসা মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পুলিস ও প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।