বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ওই বছরের ২৩ আগস্ট বিকেলের দিকে বন্ধুদের ডাকে সন্দীপ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার হয়। বাড়িতে ফোন যায়। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে গেলে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পিতা গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, প্রথম থেকেই পুলিসের গা-ছাড়া মনোভাবে ক্ষুব্ধ তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
মামলকারীর আইনজীবী সুদীপ দাশগুপ্ত আদালতকে জানান, পুলিসের দাবি, গাড়ি দুর্ঘটনায় সন্দীপের মৃত্যু হয়েছে। অথচ, কোন গাড়ি তাকে ধাক্কা মারল, তার উল্লেখ নেই। কোনও গাড়ি বাজেয়াপ্তও হয়নি। গাড়ির চালককে ধরা তো দূরস্থান। এমন অভিযোগে এই মামলায় প্রথমে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ২০১৫ সালে তদন্ত সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য তলব করেছিলেন। পরে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ধৃতদের আইনমাফিক জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু, এতকিছুর পরেও সে কীভাবে মারা গেল, কে তার জন্য দায়ী, তা পুলিস জানাতে পারছে না।
তাঁর প্রশ্ন, যদি গাড়ির ধাক্কাতেই তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে মৃতের মাথায় ও শরীরে সেইমতো আঘাতের চিহ্ন থাকবে। কিন্তু, তেমন কোনও আঘাতেই চিহ্নই তার শরীরে নেই। তার চেয়েও বড় কথা, মৃতের বাবা পুত্রের যে বন্ধুদের নাম পুলিসকে দিয়েছিলেন, তাদের সম্পর্কে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আজও অজানা।