কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমন যখন গর্ভে ছিল, তখনই পাপিয়া মণ্ডলের সঙ্গে স্বামী শাজাহান মণ্ডলের ‘বিচ্ছেদ’ হয়ে যায়। পাপিয়া মণ্ডল বাগদার মালিপোতা এলাকা ছেড়ে বনগাঁ মণিগ্রাম এলাকায় বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠেন। তারপর সুমনকে তিনি একাই মানুষ করেন। তবে, সুমন বড় হওয়ার পর টেলিফোন মারফত তার বাবার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তারপর তাদের কথাও হত। আট মাস মাস আগে বাগদার এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে এই শাজাহান মণ্ডল সুমনকে পুনেতে একটি সোনার দোকানে কাজে পাঠায়। যেহেতু ছেলে বড় হচ্ছিল, তাই পাপিয়া মণ্ডল তাতে বাধা দেননি।
মা পাপিয়া মণ্ডলের দাবি, গত রবিবার পুনে থেকে সুমন ফোন করেছিল। সে ফোনে জানিয়েছিল, বাবা শাজাহান মণ্ডল তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা চাইছে। কিন্তু, সে এত টাকা কোথা থেকে পাবে? ফোনে সুমন তার মাকে জানায়, বাবা ওই টাকার জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে। আমি বাড়ি ফিরে যাব। পাপিয়া মণ্ডল পুলিসকে জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর সোমবার শাজাহান মণ্ডল তাঁর বাড়িতে যায়। যে ব্যবসায়ীর মারফত সুমনকে সে পুনেতে পাঠিয়েছিল, ওই ব্যবসায়ীও আসে। শাজাহান জানায়, সুমন তিনদিন ধরে নিখোঁজ। তখন পাপিয়া মণ্ডল তাকে চেপে ধরেন। বলেন, আমি তো রবিবারই কথা বলেছি। কবে থেকে নিখোঁজ হল? তারপরই নাকি শাজাহান বলে, সুমন আত্মহত্যা করেছে।
এরপর মা পাপিয়া মণ্ডল মঙ্গলবার খবর পান, ময়নাতদন্ত না করেই সুমনকে নাকি বাগদার মালিপোতায় কবর দিয়ে দিয়েছে শাজাহান। তারপরই তাঁর সন্দেহ বাড়ে। তাঁর অনুমান, এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে। এবং শাজাহানের হাত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই তিনি বাগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার পুলিস কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই মৃতদেহ এনে কবর দেওয়া হয়েছিল। পুনে থেকে সরাসরি গাড়িতে করেই মৃতদেহ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত শাজাহান পলাতক। তার খোঁজ চলছে।