পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সেখানকার বিধায়ক জয়দেব হালদারের অভিযোগ, সিপিএমের স্থানীয় নেতা রইস মোল্লা এবং তার লোকজনই হামলা চালিয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের উপরে। গুলি-বোমা নিয়ে এই হামলা হয়েছে। তাতেই তাঁদের দলের কর্মী সারোয়ার মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের নেতা বা কর্মীদের কোনওরকম সম্পর্ক নেই। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই দিকে দিকে গুলি-বোমা চলছে। তৃণমূলের বিধায়করাও এই দ্বন্দ্বের কারণে ছাড় পাচ্ছেন না। এলাকায় এলাকায় অস্ত্র-বোমার কারখানা গড়ে তুলেছে শাসকদলের কর্মীরা। ইতিমধ্যে পুলিস এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নুর হাবিব মোল্লা এবং মজিবর মোল্লা। তাদেরকে ডায়মন্ডহারবার আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীনারায়ণ দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তরপাড়া থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ১১-১২ ফুট এই রাস্তার নির্মাণ চলাকালীন স্থানীয় কিছু লোকজন এসে ওই কাজে বাধা দেন। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারা কাজে বাধা দিয়ে বলে, গ্রামের ভিতরে ছোট ছোট রাস্তার হাল খারাপ। সেগুলির আগে সংস্কার করতে হবে। গ্রামের ভিতরে রাস্তার সংস্কার না করা হলে এই রাস্তাও করতে দেওয়া হবে না। সেই সময় গ্রামের বাসিন্দারা তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই বচসা থেকেই দু’পক্ষের মারপিট লেগে যায়। গ্রামের বাসিন্দারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় অভিযুক্তরা পিছু হটে। ফলে মঙ্গলবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, বুধবার সকালে স্থানীয় এক দাপুটে ব্যক্তি তার লোকজনকে নিয়ে এসে ফের হামলা করে। এলাকায় ঢুকেই অভিযুক্তরা পর পর বোমা ফেলতে থাকে। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীর সঙ্গে তারা মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। সেই মারপিটের মধ্যেই দফায় দফায় গুলি চলে। সেই সময় চাষের জমি দেখে ফিরছিলেন সারোয়ার মোল্লা। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঝরাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আহতকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে মথুরাপুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তারপরে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু কলকাতায় এসে পৌঁছনোর আগে আমতলাতেই তিনি মারা যান। তৃণমূলে নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, সিপিএমের এক নেতা প্রথম থেকেই এই কাজে বাধা দিচ্ছিলেন। তা না শোনাতেই তাঁদের উপরে হামলা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক শমীক লাহিড়ীর অভিযোগ, যে নেতার নামে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তিনি ওই এলাকায় এখন থাকেন না। তাহলে কোথা থেকে তিনি এলেন। এধরনের অভিযোগ মিথ্যা।