বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমত, যিনি গণধর্ষিতা হয়েছিলেন তিনি একজন বিদেশিনী। ভারতের আইন সম্পর্কে তাঁর আস্থা ও ভরসা থাকা দরকার। দ্বিতীয়ত, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের তথ্যপ্রযুক্তি তালুকে দিনে ও রাতে প্রচুর যুবতী কাজ করতে যান। তাই এই মামলায় কঠোর সাজা হওয়ার খুব দরকার ছিল। তিনি বলেন, ওই বিদেশিনী সাজাপ্রাপ্তদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে যেমন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাবেন, তেমনই ভিক্টিম কমপেনশেসন আইনে ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মে মাসে সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি তালুক থেকে রাত ১২টা নাগাদ ওই বিদেশিনীকে অপহরণ করা হয়েছিল। চারজন যুবক একটি টাটা সুমোতে এসে তাঁকে অপহরণ করে গাড়িতে তোলে। তারপর সারারাত ধরে ওই চারজন মিলে তাঁকে লাগাতার গণধর্ষণ করে। ভোরের দিকে, ওই চারজন যখন যুবতীকে খুন করে ফেলে দেওয়ার আলোচনা করছিল, তখন ওই যুবতী চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন। এক ট্যাক্সি চালকের সহায়তায় তিনি বিধাননগর মহিলা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
গত সোমবার বিচারক এই চারজনকেই বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার সাজা ঘোষণার আগে দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিচারককে বলেন, এই গণর্ষণের ঘটনাটিতে নির্ভয়াকাণ্ডের মতো মিল রয়েছে। এই ঘটনায় বিদেশিনী যুবতী শুনতে পেয়েছিলেন, তাঁকে খুন করার আলোচনা চলছে। তিনি গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে না পালাতে পারলে, তাঁকেও নির্ভয়ার মতোই নৃশংসভাবে খুন হতে হতো। তাই এই মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত চারজনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক। এই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী তীর্থঙ্কর পাল বলেন, আমরা একমাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।