গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ছেলেধরা বা চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় ঘটেছে। কসবা, টালিগঞ্জ, আনন্দপুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। আনন্দপুর এলাকার ঘটনা সবচেয়ে বড় আকার নেয় কয়েকদিন আগে। এরপরই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মণীন্দ্র দত্তের উদ্যোগে লিফিলেট বিলি করে চলছে প্রচার। প্রতিটি জায়গাতেই পুলিসকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করতে হয়েছে। গুজবের জেরেই যে এসব ঘটছে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিস অফিসাররা। কারণ যে বা যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে শিশুপাচার চক্রের বা চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি বলে দাবি তদন্তকারী অফিসারদের। এর পিছনে একটি গোষ্ঠী কাজ করছে বলে জানতে পারছে পুলিস। যারা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজ করছে। সেই কারণেই সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে চাইছেন কর্তারা। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গুজব ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগরীতে যাতে আর গুজব ছড়াতে না পারে, সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে চাইছেন পুলিস আধিকারিকরা। বছর তিনেক আগে শিশু চুরির আতঙ্কে কড়েয়া, তিলজলা, তপসিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এবং পুলিসকে আক্রমণ করার মতো ঘটনা ঘটেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্ক তাঁরা। সেই কারণেই বিভিন্ন থানা এলাকায় ক্লাবগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগতে চাইছে পুলিস। কারণ এলাকার খবর ক্লাবের মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালো পাওয়া সম্ভব। যে কোনও ঘটনার খবর স্থানীয় ক্লাবেই অনেক আগে এসে পৌঁছয়। তাদের কাজে লাগিয়ে পুলিস জানতে চাইছে, বহিরাগত কেউ অসুদ্দেশ্যে এলাকায় ঘোরাফেরা করছে কি না। পাশাপাশি কে বা কারা এলাকায় গুজব ছড়াচ্ছে, তা স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের নজরে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে সন্দেহভাজন কেউ নজরে এলে তারা তৎক্ষণাৎ পুলিসে খবর দেয়। পাশাপাশি কাউকে আক্রান্ত হতে দেখলে তাঁকে উদ্ধারের জন্য ক্লাবগুলির কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে। পুলিসের তরফে প্রচারও চালানো হচ্ছে। চলছে লিফিলেট বিলিও।
এদিকে, দায়িত্বভার হাতে নেওয়ার পরই নতুন নগরপাল চাইছেন পুলিসের উপস্থিতি যেন শহরের সর্বত্র চোখে পড়ে। মঙ্গলবার পুলিসের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। কলকাতা পুলিসের সুনাম যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার উপর জোর দিয়েছেন কমিশনার। বুধবার পুলিস কমিশনার কন্ট্রোল রুম সহ লালবাজারের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখেন। আরও উন্নত ও কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর তিনি জোর দিতে চাইছেন।