পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা স্বীকার করে নেয় তারা কোনও পুলিস বা এনআইএ’র লোক নয়। তাদের সমস্ত পরিচয়পত্র জাল। এমনকী যে গাড়িটি করে তারা ঘুরছিল, সেটির নম্বরও ভুয়ো। এরপরেই অভিযুক্ত দিলীপ শর্মা (গোলাবাড়ি), অমর শর্মা (মুচিপাড়া), গোপাল কর্মকার (দমদম), সঞ্জয় সাউ (বেলেঘাটা) এবং ফকরুদ্দিন আলিকে (ফুলবাগান) গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু, তারা সেখানে কী করছিল? সেবিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের দাবি, তারা আর্থিকভাবে সবল বিভিন্নজনকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিত। দীর্ঘ সময় ধরেই তারা নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটি সহ সংলগ্ন বিভিন্ন থানা এলাকাতেই এরকম অপরাধমূলক কাজ করছে। মূলত প্রোমোটারদের অবিক্রিত ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়ার জন্য গ্রাহক আনবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিত। তারপরে তাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রসেসিং ফি আদায় করে নিত তারা। এরপরে গ্রাহকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার দিনে নিজেদের ভুয়ো ‘পুলিস’ বা ‘এনআইএ’ পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রোমোটারদের ভয় দেখিয়ে চম্পট দিত। এছাড়াও বহুজনকে বড় ব্যবসায় নামার জন্য ব্যাঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেবে বলেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও ধৃতরা স্বীকার করেছে। তবে ধৃতদের বিরুদ্ধে থানাতে পুরনো কোনও অভিযোগ এখনও পাওয়াই যায়নি।
এবিষয়ে তদন্তকারীদের দাবি, সম্ভবত ভয়ে প্রোমোটাররা কোনও অভিযোগ করেননি। কারণ অভিযুক্তরা যখন প্রোমোটারদের ভয় দেখাত, তখন তাঁদের একটি খেলনা পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানো হত। কমিশনারেটের কর্তা জানান, খেলনা পিস্তলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আসলে ওটি একটি পিস্তল লাইটার। একইসঙ্গে একটি খেলনা ওয়াকিটকিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের এদিন আদালতে পেশ করে তিনদিনের পুলিস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কমিশনারেটের কর্তা জানান, ধৃতরা কাদের কাদের প্রতারিত করেছে সেবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।