কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, কাউন্সিলাররের ঘনিষ্ঠদের দাবি, এটা বিজেপির কাজ বলে শাসকদলের নেতারা দাবি করলেও, আদতে এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পরিকল্পনা করেই কাউন্সিলারকে খুনের চেষ্টা হয়েছে। দুর্গাপুজো বিসর্জনের সময়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে যেভাবে অবস্থা উত্তপ্ত হয়েছিল, তারই বদলা নিতে এই হামলা। অবশ্য, এতে দুই অভিযুক্ত মহম্মদ কায়েস এবং মহম্মদ কামাল ধরা পড়লেই ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলেই দাবি করেছেন পুলিস প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের কথায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। মিঠুনবাবুর ঘনিষ্ঠদের কথায়, ওই কাউন্সিলারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীই এই দু’জনকে সুপারি দিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দু’জন তৃণমূলের একাংশের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচত। তা অবশ্য মানতে চাননি গৌতমবাবু। তিনি বলেন, বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাল্টা দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিজেপির (পশ্চিম) সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুনের চেষ্টা হয়েছে। মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় দেখা যায়। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, গত কয়েক মাস ধরেই বজবজের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। আগেও এনিয়ে মারপিট হয়েছে। এলাকা কার দখলে থাকবে, সেটাই মারপিটের মূল কারণ। মিঠুনবাবু এলাকায় নিজেদের আধিপত্য আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়িয়েছেন। যে কারণে তাঁকে খুনের চেষ্টা হল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিকেলে চড়িয়াল সেতুর একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বজবজে এসেছিলেন। এদিন দিনভর সেখানেই ছিলেন এই কাউন্সিলার। তারপর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি চিতলিগঞ্জে নিজের ওয়ার্ডের পার্টি অফিসে যান। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা হয়।
মিঠুনের স্ত্রী সীমা টিকাদার নন্দনপুরের বাড়িতে বসে বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না। সব কিছু বলতে পারবেন আমার স্বামী। তবে মানুষের জন্য কিছু করার ফল যে এমনভাবে ভুগতে হবে, তা কোনওদিন আঁচ করিনি। অল্পের জন্য গুলির আঘাত থেকে বেঁচে গেলেও বোমার সপ্লিন্টারে মাংসপেশী ছিঁড়ে গিয়েছে। জেলার পুলিস আধিকারিকরা ঘটনার তদন্তে নেমে জানিয়েছেন, কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালানো হয়নি। বাইরে থেকে বোমা মারা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। রাতেই হাসপাতালে কাউন্সিলারকে দেখতে যান মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, যাদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে, যারা রাজনৈতিক দিক থেকে এঁটে উঠতে পারছে না, তারাই এমন হামলা করছে।