কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২২৩ রুটের একটি বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সুস্মিতাদেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাসের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি সামনে এবং তাঁর মেয়ে ঠিক পিছনে ছিল। বাসটি চলা শুরু করে দেওয়ায়, সেই তার চাকাতেই পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনুষ্কার। যদিও সুস্মিতাদেবী আত্মীয়দের দাবি, তাঁরা যে বাস থেকে নেমেছিলেন, সেই বাসটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে অন্য একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয় অনুষ্কা। পুলিস জানিয়েছে, পরিবারের পক্ষের বয়ান এখনও নেওয়া হয়নি। তাঁদের বয়ান নেওয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও বয়ান সংগ্রহ করা হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত করা হবে। যে বাসের চাকায় অনুষ্কা পিষ্ট হয়েছে, সেটিকে আপাতত আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক। তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। বাস চালক ধরা পড়লেই, ঘটনাটি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে পুলিসের দাবি।
এদিকে, ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এবং অভিভাবিকারা। বেলা ১১টা ৪০ মিনিট থেকে টাকা যশোর রোড অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, স্কুলে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিশু পড়তে আসে। তাদের আসা এবং যাওয়ার সময় রাস্তার মোড়ে কোনও পুলিস থাকে না। ফলে এরকম দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রত্যেকদিনই থাকে। এদিন এরকমই একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এক শিশু স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুও হল।
পুলিস তাঁদের বোঝাতে গেলে, অভিভাবকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁদের অভিযোগ, এখানে নিরাপত্তা দেওয়াটা প্রয়োজন তা সত্ত্বেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা করেনি। এমনকী রাস্তায় কোনও স্পিড ব্রেকারও নেই। ব্রিজের নীচে এবং রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র পার্কিং করা হচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিসের কোনও কথা তাঁরা শুনবেন না। যশোর রোড অবরোধ হয়ে যাওয়ায় নাগেরবাজার থেকে এয়ারপোর্টগামী এবং এয়ারপোর্টের দিক থেকে নাগেরবাজারগামী সমস্ত যানবাহন উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করতে শুরু করে। তখন উত্তেজিত অভিভাবকরা উড়ালপুলের এয়ারপোর্টের দিকের মুখেও অবরোধ শুরু করে দেন। ফলে দমদম-নাগেরবাজারমুখী যানবাহন চলাচল পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়। যশোর রোডে দমদমের দু’দিকেই ব্যাপক যানজটও সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলার দেবিকা রায় এসে পরিস্থিতি নিয়ে পুলিস এবং পুরসভার সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে প্রায় আড়াইটে নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।
তবে এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলও এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। স্থানীয় কাউন্সিলার দেবিকা রায় জানান, তিনি এবিষয়ে আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে আলোচনায় বসতে বলেছিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও আগ্রহ দেখায়নি। এমনকী এখানে এক কাউন্সিলারের সহায়তায় বেআইনি পার্কিং করা হচ্ছে। এবিষয়েও পুলিস ও প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শেষ পর্যন্ত অভিভাবকদের দাবি মেনে স্কুল কমিটির সম্পাদক এবং প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।