রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোদালিয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়া গিরি। তিনি বলেন, আমার বাড়ির পাশেই ভদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছে দেখে প্রতিবেশী তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে গণ্ডগোল থামাতে যাই। ওই সময়ে উল্টে সমীর ভদ্রর স্ত্রী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরে পরিবারের সদস্য ও পাড়ার লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওনাকে মারধর করে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পুলিস তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। অন্যদিকে, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, নলডাঙাতে একটা গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিস ঘটনার তদন্ত করবে। যেই অন্যায় করুক না কেন পুলিস আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোদালিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডাঙা নারায়ণপুরের বাসিন্দা সমীর ভদ্রের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তাঁর আরও দুই ভাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ রয়েছে। এই নিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার পাড়া-প্রতিবেশী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা আলোচনায় বসেন। এরপর মাস ছয়েক আগে সম্পত্তি তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে পাঁচিল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা তথা উপপ্রধান জয়া গিরি।
অভিযোগ, এরপরেই তিন ভাইয়ের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকত। পারিবারিক বিবাদের জেরে এর আগে কয়েকটি অভিযোগ এখনও আদালতে বিচারাধীন। সেই মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সোমবার প্রতিবেশীরা আলোচনায় বসেন। ওই সময়ে ফের ভদ্র পরিবারে ঝামেলা শুরু হয়। সমীরবাবুর অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই উপপ্রধান ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী বাড়িতে হাজির হন। এরপরেই বাড়ি ছেলে না চলে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন উপপ্রধান। শুধু তাই নয় তাঁকে ও স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনও রকমে তিনি পালাতে সক্ষম হলেও উপপ্রধান, পরিবারের সদস্যরা ও কয়েকজন প্রতিবেশী স্ত্রীকে বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারধর, শ্লীলতাহানির পর চুল কেটে নিয়েছে। ওই ঘটনার পর আতঙ্কে আমরা বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছি। আমরা থানায় যাওয়ার আগেই উপপ্রধান তাঁর সঙ্গীরা গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় পুলিস অভিযোগ নেয়নি। তাই আমরা আদালতের মাধ্যমে পরিবারের সদস্য ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাই আদালতের তত্ত্বাবধানে পুলিস ঘটনার যথাযথ তদন্ত করুক।