নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টার সংলগ্ন ডিয়ার পার্কের দু’টি হরিণের মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিয়ার পার্কের ভিতরে মৃত অবস্থায় হরিণ দু’টিকে দেখতে পান কেয়ারটেকার অলোক পাল। গলায় ও শরীরের কয়েকটি জায়গাতে ক্ষত ছিল। এর মধ্যে একটি বড় এবং অন্যটি বাচ্চা। কীভাবে তারা মারা গেল, তা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের অন্দরে ভিন্নমত তৈরি হয়েছে। একটি অংশ বলছে, হরিণদের সুরক্ষার জন্য চারপাশে যে তারের বেড়া দেওয়া হয়েছিল, তার নীচে ইটের গাঁথনির অনেক জায়গাতে ফাঁক ছিল। সেখান থেকে ফিশিং ক্যাট ভিতরে ঢুকে হরিণের উপর হামলা করে। তাতেই তারা মারা গিয়েছে। অন্য একটি অংশের দাবি, বাচ্চা প্রসবের সময় হরিণ মারা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, সে ব্যাপারে জেলা বন বিভাগের আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। কেয়ারটেকার অলোক পাল দু’টি হরিণ মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না। রেঞ্জারকে জিজ্ঞাসা করুন। উনি সব জানেন।
সুন্দরবনে পর্যটকদের টানতে ঝড়খালিতে টাইগার রেসকিউ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দু’টি বাঘও রয়েছে। এর পাশেই একটি ডিয়ার পার্ক তৈরির পরিকল্পনা নেয় বন দপ্তর। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে সেখানে ২২টি হরিণ ছাড়া হয়। বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, হরিণ দু’টিকে ওখানে দাহ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে।