গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত, কার্য ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ সুভাষ রায় বলেন, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই আমরা এই কাজে হাত দিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষ রাস্তা সারাই ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন ও পরে বোর্ড গঠনে দেরি হওয়ায় কাজ শুরু হতে একটু দেরি হয়েছে। আমরা বোর্ড গঠনের পরেই এই কাজে হাত দিয়েছি। অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এলাকার মানুষের উন্নয়নে আমরা একাধিক প্রকল্প নিয়েছি। স্বাধীনতার ৭২ বছর পরও এই এলাকার মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছিলেন না। আমরা সম্প্রতি পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছি। যে কাজগুলি বাকি আছে, তা দ্রুত শেষ করা হবে। এখন আট কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর বাকি কাজগুলির জন্য টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাগুলিই ভরসা। এগুলি এতদিন কাঁচা ছিল। বর্ষায় কাদা-জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার মানুষকে। ওই রাস্তাগুলি কংক্রিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাকে পাকা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়াও এই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বলে এতদিন কিছু ছিল না। নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা নর্দমা তৈরি করা হবে। কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় আলো লাগানোর প্রয়োজন। ওই এলাকায় রাতে দুষ্কৃতীরা ঘোরাঘুরি করছে ও অসামাজিক কাজ করছে বলে অভিযোগ এসেছে। সেকারণে সেখানে আলো লাগানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৪টি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যেগুলি হয়নি, সেগুলিও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দিয়ে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্তা বলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের পক্ষ থেকে এই সব কাজ শেষ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেকারণে বোর্ড গঠনের পর প্রথম এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।