পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, বস্তি এলাকায় বসবাসকারী বা গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের নির্দেশ মেনে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই তালিকা অনুযায়ী ধাপে ধাপে ২০২২ সালের মধ্যে আমরা মোট ৯ হাজার ১২২ জনকে বাড়ি তৈরি করে দেব। প্রথম গত দুই আর্থিক বছরে প্রায় ৪৫০ টি বাড়ি তৈরি করেছি। এবার ৮২৯টি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।
চুঁচুড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সবার জন্য বাড়ি প্রকল্পের জন্য ২০১৫ সালে সমীক্ষা করে মোট ৯ হাজার ১২২ জনকে চিহ্নিত করে তা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বস্তি এলাকায় বসবাসকারীদের কিছু মানুষের নিজস্ব জমি রয়েছে, অথচ টাকার অভাবে তাঁরা বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না। আবার কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নিজের জায়গা থাকলেও টাকার অভাবে বাড়ি তৈরি করতে না পারায় ভাড়া বাড়িতে রয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে যাঁদের নিজস্ব জায়গা রয়েছে অথচ টাকার অভাবে বাড়ি তৈরি করতে পারছেন না, সেই সমস্ত পরিবারকে চিহ্নিত করে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
প্রকল্প অনুযায়ী প্রতিটি বাড়ির জন্য ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ হাজার টাকা উপভোক্তাকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। বাকি টাকার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার ও ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা রাজ্য সরকার দেবে। পাশাপাশি উপভোক্তার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা, ড্রেন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সহ ন্যূনতম পরিষেবার ব্যবস্থা করার জন্য আরও ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা খরচ করবে সরকার। পরিকাঠামো উন্নয়ন বাবদ খরচ অর্ধেক দেবে রাজ্য সরকার। বাকি অর্ধেক টাকা দেবে স্থানীয় পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সবার জন্য বাড়ি প্রকল্পে ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে প্রায় ৩০০ বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিললেও প্রায় ৮০টি বাড়ি তৈরি করে। ২০১৭-’১৮ সালে ৩২২টি বাড়ি তৈরির কাজ করে। ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে ৮২৯টি বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন পেয়েছে। সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পর উপভোক্তারা নিজের অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা জমা করবে। পরবর্তী পর্যায়ে ভিতের কাজের জন্য প্রথম দফায় পুরসভা ৪০ হাজার টাকা দেয়। সেই ছবি আপলোড করার পর ঢালাইয়ের আগে পর্যন্ত কাজ করার জন্য আরও এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। সেই ছবি আপলোডের পর ঢালাইয়ের জন্য তৃতীয় দফায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা দেবে। শেষ দফায় উপভোক্তা বাকি ৭৫ হাজার টাকা বাড়ি তৈরির জন্য পাবেন।