বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় ও বন দপ্তর সূত্রের খবর, রবিবার রাতে হাতি দু’টি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার আধারনয়ন বিট থেকে দলছুট হয়ে রাজ্য সড়ক পেরিয়ে ঘাটালে ঢুকে পড়ে। রাতে রূপনারায়ণ পেরিয়ে হুগলির পানশিউলির দিক থেকে মুণ্ডেশ্বরী পেরিয়ে হাওড়ার ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলে ঢুকে পড়ে। সোমবার সকালে গ্রামের মধ্যে জলজ্যান্ত দু’টি হাতি ঘোরাফেরা করতে দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। তখন একটি হাতির তাড়া খেয়ে গোবিন্দ ধাওয়া (৫৫) নামে একজন জখম হন। এরপর গ্রামবাসীদের চিৎকারে হাতি দু’টি উত্তর ভাটোরার পশ্চিম পাড়ায় একটি বাঁশ বাগানের মধ্যে আশ্রয় নেয়।
এদিকে, গ্রামে হাতি ঢোকার খবর পেয়েই ব্লক প্রশাসন, পুলিস ও বন দপ্তরের অফিসাররা গ্রামে পৌঁছন। কিন্তু, হাওড়া হাতি জোন না হওয়ায় এখানে বন দপ্তরের কোনও হাতি তাড়ানোর বিশেষজ্ঞ নেই। সেই কারণে তাদের পক্ষ থেকে খড়্গপুরের বন দপ্তরে খবর দেওয়া হয়। বন অফিসাররা বলেছেন, আপাতত হাতি দু’টিকে গ্রামের লোকজন যাতে বিরক্ত না করে, তার জন্য প্রচার করা হয়েছে। হাতি তাড়ানোর বিশেষজ্ঞরা এলেই এই দু’টি দাঁতালকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলে পাঠানো হবে। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, হাতির হানায় একজন জখম হয়েছেন। এই এলাকায় প্রথমবার হাতি ঢুকল। সরকারি নিয়মানুযায়ী জখম ব্যক্তি যাতে সরকারি সাহায্য পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।
নদী পেরিয়ে হাতি দু’টি আসার সময় এলাকায় চাষের জমির ফসল নষ্ট করেছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এই এলাকায় নদী থেকে জল তুলে অনেকেই বোরো ধানের চাষ করেন। সেই জমির ক্ষতি হয়েছে। হাতি দু’টি তাড়াতে না পারলে আরও চাষের ক্ষতি হবে বলে গ্রামবাসী আশঙ্কা করছেন। সেই কারণে বন দপ্তরের কাছে এদিনই স্থানীয় চাষিরা দ্রুত হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাষিদের ক্ষতি কীভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে কৃষি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। হাতি দু’টি গ্রামছাড়া না হওয়া পর্যন্ত পালা করে পাহারা দেওয়ার কাজ চলছে।