পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কেন এমন অদ্ভুত শখ চেপেছিল মণীশবাবুর? তাঁর কথায়, একবার এক বন্ধু, তাঁর ছেলের জন্মদিনে একটি নোট হাজির করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেই নোটের নম্বর ছিল ছেলের জন্মদিনের তারিখটির। যে ছ’টি সংখ্যা থাকে প্রতিটি নোটের গায়ে, তার প্রথম দু’টি সংখ্যা তারিখ, পরের দু’টি সংখ্যা মাস এবং শেষের দু’টি সংখ্যা সালের শেষ দু’টি সংখ্যার সঙ্গে অবিকল সঙ্গতিপূর্ণ। এই নোট খোঁজার কাজে নামলেন মণীশবাবুও। শচীনের জন্মদিন, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের জন্মদিন এবং তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর দিনটির সঙ্গে মিল আছে এমন নম্বরের নোট খোঁজার চেষ্টায় নামলেন তিনি। কিন্তু চাইলেই কি তা পাওয়া যায়? দেশের এমন কিছু সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকলেন মণীশবাবু, যারা বিশেষ নোট ও মুদ্রার সন্ধানে থাকে এবং তা চড়া দামে বিক্রি করে। অবশেষে সেই নোটগুলি জোগাড় হয়। তা শচীনের কাছে পাঠিয়েও দেন মণীশবাবু। তাঁর কথায়, এরপর জেদ চেপে যায় আমার। চেষ্টা করি, যাতে শচীনের একশোটি সেঞ্চুরির তারিখগুলির সঙ্গে মিল আছে, এমন সব নম্বরের একশোটি ১০ টাকার নোট জোগাড় করা যায়। দিনের পর দিন বিভিন্ন সংস্থায় যোগাযোগ রেখে প্রায় দু’বছরের চেষ্টায় আমি সেই নোটগুলি জোগাড় করি। তার জন্য চড়া দাম চোকাতে হয় আমাকে।
বাকিটা পথ স্বপ্নের মতো, বলছিলেন মণীশবাবু। তাঁর কথায়, একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ছিল শচীনের সঙ্গে দেখা করা। আমি সেই প্রতিযোগিতায় জিতি। ওই সংস্থা আমার মেয়েকে ও আমাকে মুম্বইতে পাঠায় শচীনের সঙ্গে দেখা করার জন্য। সেখানে গিয়ে আমি নিজের পরিচয় দিই। বলি, আমিই আপনাদের জন্মদিন এবং বিবাহের দিনটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নম্বরের নোট পাঠিয়েছিলাম। বিস্মিত হন শচীনও। এরপর তাঁকে আমরা ১০০টি সেঞ্চুরির তারিখের সঙ্গে মেলানো নম্বরের ১০ টাকার নোটগুলির কথা জানাই।
শচীনকে নিয়ে যে বিখ্যাত প্রকাশক সংস্থা বই প্রকাশ করেছে, পাকেচক্রে এ দেশে লিমকা বুক অব রেকর্ডসও ছাপায় সেই প্রকাশনা সংস্থাটিই। মণীশবাবু দেখতেন, শচীনকে নিয়ে লেখা বইয়ের কপিরাইট লঙ্ঘন করে ইন্টারনেটে ছেয়ে গিয়েছে জাল বই। তা রুখতে সেই ‘লিঙ্কগুলি’ প্রকাশনা সংস্থায় পাঠাতেন মণীশবাবু। সেই সুবাদেই প্রকাশকের সঙ্গে তাঁর আলাপ। তাঁর কাছে নোটগুলির বিষয়ে জানান মণীশবাবু। তারপর সেই প্রকাশকই পথ বাতলে দেন লিমকা বুকে নাম তোলার রীতি। অবশেষে তাঁকে স্বীকৃতি দেয় ওই বই। পরিশ্রমের পুরস্কার হিসেবেই ওই স্বীকৃতিকে মেনে নিয়েছেন মণীশবাবু। তাঁর কথায়, এখানেই শেষ নয়। আমি আপাতত মেতে আছি মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলির সঙ্গে মিল থাকা নোটগুলি নিয়ে। দেখা যাক কী হয়!