বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ডব্লুআইআই তথা নমামি গঙ্গে প্রকল্পে গঙ্গার জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বিজ্ঞানী শিবানী বার্থওয়াল বলেন, এবিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে তাঁদের চুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে এখনও পর্যন্ত ১৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী গঙ্গা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা এবং সংরক্ষণে ওই গ্রামের প্রশাসন এবং বাসিন্দারা সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করবে। শিবানী বার্থওয়াল আরও বলেন, শুধুমাত্র গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুললেই হবে না। সার্বিকভাবে গঙ্গাকে বাঁচাতে হলে, গোটা গ্রামকে একত্রিত করতে হবে। সেই জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি গ্রামকে এই চুক্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ২০২০’র মধ্যে অন্তত এক হাজারের কাছাকাছি গ্রামকে এই চুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি।
প্রকল্পের এক আধিকারিক আরও বলেন, ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামে ‘প্রহরী’ নিয়োগ করা হয়েছে। মূলত তাঁদের মাধ্যমেই বেশ কয়েকটি গ্রামকে এই চুক্তির আওতায় আনার উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে। সম্প্রতি নমামি গঙ্গে এবং ডব্লুআইআই-এর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে নদীয়ার নয়াচর বলে একটি গ্রামে এবিষয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনাও করেন। প্রকল্পের এক কর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়। তাঁরা নিজেরাই জানিয়েছেন, গঙ্গা এবং তার জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সবরকম সাহায্য করা হবে। কিন্তু চুক্তি করার বিষয়টি অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গ্রামের প্রশাসনের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। সমস্ত পক্ষ রাজি থাকলে, খুব শীঘ্রই এ’রাজ্যেও এই কাজ শুরু করা হবে। এরপরে শ্রীরামপুর কলেজে এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল। সেখানে খুদে পড়ুয়াদের গঙ্গা এবং তার জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করা কতটা প্রয়োজন সেবিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞানীরা। এই আলোচনায় বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং গঙ্গা প্রহরীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।