পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিকে ওই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ নিয়ে হাড়োয়া রোড অবরোধ করে। সাত ঘণ্টা অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্রথম দফায় অবশ্য পুলিসের হস্তক্ষেপে সাড়ে ৯ টার সময় অবরোধ ওঠে। তার মিনিট দুই বাদে নাবালিকা মারা যাওয়ার খবর আসায় ফের রাস্তা আটকে বসে পড়েন শ্যামনগরের মানুষ। দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। ডাম্পারের চালক ও মালিককে গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে। অনেকেই অভিযোগ করেন, হাড়োয়া রোডে মাটির গাড়ির বেপরোয়া চলাচল আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। আইন রক্ষকদের কোনও শাসন নেই। সেই কারণে এত বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। যদিও কাশীপুর থানার আধিকারিকরা তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, গাড়ির মালিক কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও, গাড়িটি নিউটাউনে চলছে। কারণ এখানে মাটির কারবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সন্ধ্যার পর কাশীপুর থেকে গাড়িগুলি নিউটাউনের দিকে চলে যায়। মাটির কাজ করে ভোরবেলা কাশীপুরে ফিরে আসে। এই গাড়িটি কাজ সেরে সেইভাবে ফিরে আসছিল। সারারাত ধরে গাড়ি চালানোর জন্য চালকের শারীরিক ধকল হয়েছিল। তার জেরে ভোরে ফেরার সময় কোনও কারণে ঝিমুনি থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের ধারণা। যদিও রাত পর্যন্ত চালক ও খালাসি কেউ ধরা পড়েনি।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামনগরে হাড়োয়া রোডের একেবারে গায়ে মহিদুল ইসলামের বাড়ি। তার চারপাশ কোনও ঘেরা নেই। রাস্তার গায়ে গোয়ালঘর। তার থেকে বেশ কিছুটা তফাতে শোয়ার ঘর। এদিন সাড়ে পাঁচটার সময় খালি ডাম্পারটি মাটি খালি করে লাউহাটির দিকে দ্রুতবেগে ফিরছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি গোয়ালঘর ভেঙে উঠোনে ঢুকে যায়। সেই সময় বাবা ও মেয়ে ছাড়া বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘরের মধ্যে ছিলেন। ফলে তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।