পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ইনসান তাঁদের দোকানের দিকে যাতে আগুন না যায় তাই আটকানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় তাদের দোকানের পাশেই থাকা একটি মাছের দোকানে আচমকাই সিলিন্ডার ফাটে। সেই ফাটা সিলিন্ডারের অংশ ছিটকে গিয়ে তাঁদের দোকানের চালে ধাক্কা মেরে সরাসরি ইনসানের মুখে উপর পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখের ডানদিকের অংশ পুড়ে যায়। কিন্তু সেই সময় তাঁর আশেপাশে কেউ ছিল না। সবাই বাজারের সামনের দিকে ছিলেন। অন্তত পাঁচ¬-সাত মিনিট ওই অবস্থায় পড়ে থাকার পর ইনসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তাঁর দোকানের কর্মী নাজিমুল জানিয়েছেন, তাঁদের এখানকার কয়েকজন পাশের একটি বহুজাতিক বিপণী সংস্থার ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে জল নিয়ে পাইপে করে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথম ইনসানকে ওই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ইনসানের বাবা জালালউদ্দিন মোল্লা বলেন, ছেলে বুধবার রাতে বাড়িতেই ছিল। দোকান থেকে খবর আসে আগুন লেগেছে। তারপরেই ছেলে এবং তিনি ঘটনাস্থলে যান। ছেলে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুই ছেলের বাবা ইনসান আলি মোল্লা পরিবারের মেজ ছেলে। বাবার সঙ্গে ব্যবসায় হাত দিয়ে মুদিখানার দোকান থেকে এখন ফল এবং সব্জির বড় ব্যবসা শুরু করেছিলেন। অনলাইনেও নিজের ‘চাচা শপ’ দোকানকে বেশ জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বাকি ভাইদের সঙ্গে নতুন বাড়িও তৈরি করেন। পাড়ায় অন্তত ভালো ছেলে বলেই সবাই চিনত। এরকম একজনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পাড়াতেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।