পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বেলা ১১টা ২২ মিনিট নাগাদ। ওই সময়ে একটি নন-এসি ট্রেনকে কবি সুভাষ স্টেশনের ডাউন প্ল্যাটফর্ম থেকে আপ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়াই সাইডিংয়ে তোলা হয়েছিল। সেখানেই যান্ত্রিক গোলযোগে আটকে পড়ে ট্রেনটি। কিছুক্ষণ চেষ্টা করেও ট্রেনটিকে সেই সময়ে চালানো যায়নি। তারপর ডাউন লাইনের প্ল্যাটফর্ম থেকেই পরবর্তী আপ লাইনের ট্রেনগুলি ছেড়েছে। বেলা ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলে। এই সময়ে চারটি আপ লাইনের ট্রেনকে ডাউন প্ল্যাটফর্ম থেকে চালানো হয়। আটকে পড়া ট্রেনে কিছুটা রক্ষণাবেক্ষণের পর কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে এসপ্ল্যানেড চত্বরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল কাটার জেরে এমনিতেই বর্তমান মেট্রো ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে চালানো হচ্ছে। তাতে পাতাল সফরের সময় বেড়েছে। তার উপরে এদিনের ঘটনায় আপ লাইনের ট্রেন দেরিতে চলেছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এদিনের ঘটনা নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। উঠেছে পুরনো রেক বাতিল করে দিয়ে নয়া ট্রেন চালানোর দাবিও। এ নিয়ে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ গুরুত্ব দিয়েই করা হচ্ছে। এদিন ‘ব্রেক বাইন্ডিং’য়ের জেরে ট্রেনটি আটকে পড়েছিল। রেল বোর্ডের অনুমোদন পেলেই মেট্রোয় নয়া এসি রেক নামানো হবে।
কবে থেকে ফের নির্ধারিত গতিতে ট্রেন চালানো হবে মেট্রোয়? এ নিয়ে ওই কর্তা বলেন, বর্তমান এসপ্ল্যানেড স্টেশনের নীচ দিয়ে যাচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল। কাজেই বিষয়টি নির্ভর করছে এসপ্ল্যানেড চত্বরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর টানেল কাটার কাজ কবে শেষ হচ্ছে তার উপর। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহমুখী একটি টানেল ১৫ থেকে ২০ মিটার এগিয়েছে। দ্বিতীয় টানেলটি কাটার কাজ শুরু হবে চলতি মাসের ১৫ তারিখ নাগাদ। দ্বিতীয় টানেলে বোরিং মেশিন এসপ্ল্যানেড চত্বর ছেড়ে যাবে মার্চের ১৫ তারিখ নাগাদ। অর্থাৎ, ততদিন বর্তমান মেট্রোয় ট্রেন চলবে নিয়ন্ত্রিত গতিতেই।