পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০-৮০টি ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যার মধ্যে প্রায় ৪০টি দোকান পুরো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। বাকি দোকানগুলিও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দোকানে আগুন নেভাতে গিয়ে ওই বাজারে সব্জির দোকান থাকা এক ব্যবসায়ী ইনসান আলি মোল্লা (৩০) গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইপাস সংলগ্ন একটি হাসপাতালে দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে আগুন লেগেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই ঝুপড়ি দোকানের বাজারে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। উল্টে একাধিক দোকানেই সিলিন্ডার ছিল। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই একের পর এক দোকানে সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করেছিল, যাতে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, যেহেতু প্রচুর সিলিন্ডার ছিল, তাই সেগুলি ফেটে যাওয়াতেই আগুন আয়ত্তে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদেরও।
আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মীও অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। ঘটনার সময় একটি ঝুপড়ি দোকানেই ঘুমিয়ে থাকা সাগর মণ্ডল বলেন, তাঁর এখানে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। পাশের বহুতলে যাত্রী নামাতে আসা এক গাড়ির চালক আচমকাই রাত সোয়া তিনটে নাগাদ তাঁকে জোরে জোরে ডাকতে থাকেন। তাঁর ডাক শুনেই দোকান থেকে বেরিয়ে দেখি, আশপাশের সমস্ত দোকান দাউদাউ করে পুড়ছে। সেই সঙ্গে একের পর এক সিলিন্ডার ফাটতে শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮-১০টি সিলিন্ডার পরপর ফেটেছে। তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছিল, তা কেউই নির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলের অগ্নিদগ্ধ ঝুপড়িগুলির মধ্যে গাজি মোটর গ্যারেজ বলে একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে থাকা সামিদুল গাজি বলেন, প্রত্যেকদিনই তিনি বহু গাড়ি সারাই করেন। বুধবার রাতেই সারাই করার জন্য প্রায় ১৫টি বাইক তাঁর দোকানে রাখা ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। একটি বাইক মাত্র চারদিন আগে তার মালিক কিনেছিলেন। সেটিও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে তিনি কীভাবে দোকানের কাজ শুরু করবেন, সেটা বুঝতে পারছেন না। বিশেষ করে বাইকের মালিকরা তাঁর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাইলে, তিনি কীভাবে তা ফেরত দেবেন তা নিয়েই উদ্বিগ্ন। ওই দোকানে বাইক সারাতে দেওয়া স্থানীয় বহুতলের বাসিন্দা রোহিত জয়সওয়াল অবশ্য বলেন, দোকানদারের কী করণীয় রয়েছে। তাই ইন্সিওরেন্স আবেদন করবেন। কিন্তু, পুরো বাইক ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায়, কীভাবে তা পূরণ হবে— তা নিয়ে সকল বাইক মালিকরাই ধোঁয়াশায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এদিন সকাল থেকেই দোকানদারদের অগ্নিদগ্ধ স্তুপের মধ্যে থেকে বেঁচে থাকা সামগ্রী খুঁজতে দেখা যায়।