পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটির খড়পাড়ার বাসিন্দা শ্যামলবাবু প্যান্ডেলের কাজ করেন। অন্যান্য দিনের মতোই এদিন সকালে সাইকেল নিয়ে কাজের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ঘোষ মার্কেটের কাছে একটি ম্যাটাডোর পেছন থেকে তাঁর সাইকেলে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। তিনি পড়ে যাওয়ায় পিছন থেকে আসা একটি লরি তাঁকে পিষে দেয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিল্লি রোডের উপর তারকেশ্বর রেল ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ওই ব্রিজ দিয়ে প্রায় এক বছর আগে পণ্যবাহী গাড়ি সহ সমস্ত ধরনের বড় গাড়ি যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে সারাদিন ধরে দিল্লি রোডের কয়েক হাজার পণ্যবাহী গাড়ি বৈদ্যবাটি চৌমাথা থেকে শহরে এসে জি টি রোড ধরে নগাঁর মোড় হয়ে ফের দিল্লি রোডে যাচ্ছে। এই রাস্তায় কিছু সময় অন্তর তারকেশ্বর রেলগেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকালের ব্যস্ত সময় ও সন্ধ্যার পর শহরে জি টি রোডে ব্যাপক যানজট হচ্ছে।
অবরোধে শামিল হওয়া গৌতম দাস বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করায় প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার আমরা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাই এদিনের দুর্ঘটনার পর আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি দিনের বেলায় জি টি রোড দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি। গৌতমবাবু বলেন, দিল্লি রোডের উপর থাকা দুর্বল সেতু কারা সংস্কার করবে, তা নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে রেল ও পূর্ত দপ্তরের দড়ি টানাটানি চলছে। আর তার জন্য বৈদ্যবাটি শহরের মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বৈদ্যবাটির খড়পাড়া মোড়ের কাছে লরির ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছিল।