পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিন সকালে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে যান তার মা। অভিযোগ, ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স রেশমি পারভিন ভ্যাকসিনের নামে কোনও ওষুধ ছাড়াই ফাঁকা সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দেন শিশুর হাতে। তার মা বিষয়টি লক্ষ্য করেই সঙ্গে সঙ্গে নার্সকে বলেন, কী করছেন? সিরিঞ্জে তো ওষুধই নেই! তারপর ওষুধ দিয়ে ওই নার্স দ্বিতীয়বার শিশুকে ভ্যাকসিন দেন। অভিযোগ, ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে প্রথমে ইঞ্জেকশন দেওয়ায় শিশুর হাত ফুলে যায়। তারপরই এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা সকলে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে এসে জড়ো হন। অভিযুক্ত সহ অন্যদের আটকে গেটে তালা ঝোলান। তারপর বিক্ষোভ শুরু করেন।
খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। পুলিস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বিক্ষোভ থামেনি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, কোনও স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। তারপরই দেগঙ্গা ব্লকের নার্সিং আধিকারিক তাপসী ঘোষাল ঘটনাস্থলে যান। তিনি গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বলেন, আমি রেশমি পারভিনকে অন্যত্র সরিয়ে দিচ্ছি। তারপরই পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত নার্স রেশমি পারভিন বলেন, খুব ভিড় ছিল। সেই সময় বিদ্যুৎও ছিল না। আমি ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে দেখি সিরিঞ্জ ফাটা। তাই ফোঁটানো হলেও সঙ্গে সঙ্গে বের করে নিই। দ্বিতীয়বার ভাল সিরিঞ্জ নিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়েছি।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ব্লকের নার্সিং আধিকারিক তাপসী ঘোষাল বলেন, কিছু সমস্যা তো আছেই। তা না হলে এত লোক ক্ষোভ দেখাবেন কেন? সিরিঞ্জ ফাটা ছিল না। ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়েই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আমি ওনাকে আজই এই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তুলে নিচ্ছি।