পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারাকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা নাড়ুগোপাল বাঁশের ঝুড়ি, সাজি, টোকা সহ নানা ধরনের জিনিস তৈরি করে বিক্রি করতেন। তা দিয়েই কোনও রকমে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর সংসার চলে। অন্যদিকে, ওই পাড়ারই পেশায় দিনমজুর রাজকুমার বাঁশফোরের স্ত্রী রাধিকাও দুই সন্তানের মা। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর ধরে দু’জনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে একাধিকবার অশান্তিও হয়। দিন চারেক আগে দু’জন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনার পরেই ফের দুই পরিবারের মধ্যে একপ্রস্থ বচসা হয়। কয়েকদিন বাইরে কাটিয়ে মঙ্গলবার নাড়ুগোপাল ও রাধিকা গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে ফিরে আসার পর সমস্যা মেটাতে দুই পরিবার ও তাঁদের প্রতিবেশীরা এভাবে বারবার গণ্ডগোল না পাকিয়ে বিয়ে করে থাকার প্রস্তাব দেন। সবার কাছ থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার পর তাঁরা রাজিও হন। কিন্তু, তারপর রাত থেকে দু’জনেই বেপাত্তা হয়ে যান।
এদিন সকালে দুই পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা খোঁজাখুঁজির সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পরিত্যক্ত ঘরে একটি দড়ির দু’পাশে দু’জনকে ঝুলতে দেখতে পান। গুপ্তিপাড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় চার দিন আগেই মৃতরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁরা আচমকা আত্মঘাতী হন। প্রাথমিকভাবে আমাদের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিস ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।