কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলকাতা পুলিস সম্প্রতি ওয়ান টাইম ট্রাফিক সেটলমেন্ট স্কিম চালু করেছে। প্রথম পর্যায়ে বকেয়া জরিমানার উপর ছাড় মিলেছে ৬৫ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে ছাড়ের পরিমাণ পঞ্চাশ শতাংশ। এদিন দুপুরে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে ৩সি/১ রুটের একটি বেসরকারি বাসকে আটকান ট্রাফিক সার্জেন্ট। তিনি চালককে বলেন বকেয়া জরিমানার টাকা মেটাতে। কিন্তু চালক জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। তাই তাঁর পক্ষে জরিমানা দেওয়া সম্ভব নয়। চালকের দাবি, টাকা মেটাতে তাঁকে চাপ দেন ওই পুলিস কর্মী। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা হয়। চালকের অভিযোগ, ওই সময় আচমকাই ওই পুলিস কর্মী তাঁর কলার চেপে ধরেন এবং চড় মারেন। যদিও চড় মারার কথা অস্বীকার করেছে লালবাজার। ঘটনাটি দেখতে পান বাসের যাত্রীরা। তাঁরা বাস থেকে নেমে এর প্রতিবাদ করেন। এর মধ্যে খবর পৌঁছে যায় এই রুটের অন্যান্য বাস কর্মীদের কাছেও। তাঁরা অনেকেই সেখানে পৌঁছে যান। দেশপ্রিয় পার্কের সামনে রাস্তা জুড়ে বাস দাঁড় করিয়ে দেন তাঁরা। বাসের চালক ও কন্ডাক্টররা রাস্তায় বসে পড়েন। এর জেরে যানজট দেখা দেয় ওই এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। অবরোধকারী বাসকর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিস। তাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে লিখিত কোনও অভিযোগ করা হয়নি পুলিসের কাছে। লালবাজারের বক্তব্য, পুলিসের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এদিকে, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিস বকেয়া জরিমানা আদায়ের নামে জোরজুলুম চালাচ্ছে। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে। তারপরেও পুলিস জোর করে কীভাবে বকেয়া জরিমানা আদায় করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিনের ঘটনা নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন।