দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রাত প্রায় আড়াইটে-তিনটে নাগাদ একটি গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে, আচমকাই গতি বাড়ায় ম্যাটাডোরটিও। ‘সোর্স’ যে জায়গায় কচ্ছপ খালাস করার ‘স্পট’ বলেছিল, সেই জায়গা টপকে চাঁদপাড়ার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ম্যাটাডোরটি। কিন্তু, পিছনের গাড়ি কিছুতেই পিছন ছাড়ছে না বুঝতে পেরে ম্যাটাডোরের চালক গাড়ি থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
বনদপ্তর সূত্রের দাবি, অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ম্যাটাডোরের খালাসি পালাতে সফল হলেও, গাড়ির চালককে ধরে ফেলে তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সে বারবারই দাবি করে, গাড়িতে মাছ রয়েছে। কচ্ছপের কথা সে বারবার অস্বীকার করে। তাহলে কেন সে পালাচ্ছিল? সেই জিজ্ঞাসাবাদে ম্যাটাডোরের চালকের দাবি, রাতে অন্য গাড়ি ধাওয়া করছে দেখে তারা ভেবেছিল, কেউ মাল লুট করতে এসেছে। কিন্তু বনদপ্তরের ‘সোর্স’ নিশ্চিত গাড়িতে মাছ নয়, কচ্ছপ রয়েছে।
সেই মতো গাড়িটির তল্লাশি শুরু করা হয়। প্রথমদিকের কয়েকটি ট্রে’তে মাছ থাকলেও, ভিতরের দিকের ট্রে বার হতেই বনদপ্তরের কর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ। ৮৪টি ট্রে এবং ৫৪টি বস্তা থেকে ১২৩২টি জীবিত কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২২টি মৃত কচ্ছপকেও উদ্ধার করা হয়। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবই ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাপ সেল এবং সফট্ সেল কচ্ছপ। মূলত নদীতে এই কচ্ছপ পাওয়া যায়। এগুলি কেনা-বেচা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তাই সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ম্যাটাডোরের চালক সৌরভ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের বাকিদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই দুর্গাপুর থেকে ৫০১টি কচ্ছপকে উদ্ধার করা হয়। ডব্লুসিসিবি সূত্রের দাবি, দুটি কচ্ছপ পাচারের ঘটনাতে বেশ কিছু মিল রয়েছে। তাই এই দুটি ঘটনার পিছনে একই চক্র রয়েছে কি না, সেবিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, জেলা বনদপ্তরের উদ্যোগে দ্রুত জীবিত কচ্ছপগুলিকে সুস্থ করে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।