পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গড়িয়াহাটের প্রসিদ্ধ বস্ত্রবিপণিতে আগুন লাগার পর এই সাইনবোর্ড, হোর্ডিং সরিয়ে দমকলের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বিল্ডিংটি বড় বড় হোর্ডিং দিয়ে ঘেরা না থাকলে অনেক আগে আগুনের উৎসমুখে জল দিতে পারত দমকল। কিন্তু এমন ঘটনার পরও কি হাতিবাগান, নিউমার্কেট বা গড়িয়াহাটের বাকি অংশের হকার-চিত্রে কোনও বদল আসবে? ব্যবসায়ীরা তুলছেন এই প্রশ্ন। মঙ্গলবার হাতিবাগান, ধর্মতলার ফুটপাতগুলি ঘুরে যে চিত্র উঠে এল, তাতে আগুন লাগলে আরেকটা গড়িয়াহাটের মতো ঘটনা খুব স্বাভাবিক। হাতিবাগানে দেখা গেল, ফুটপাতের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ কোনওরকমে হেঁটে যেতে পারবে। ফুটপাতের দু’দিকেই রয়েছে স্টল। এমনকী অনেক স্টলের মালপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিধান সরণীর উপরও। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতে বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এলে বুঝতে পারবেন, বিপদটা কতটা! রাতে দোকান বন্ধ করে কালো বা নীল রঙের ত্রিপল দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় স্টলগুলি। বেশিরভাগই হোসিয়ারি, গোপাল ঠাকুরের সাজ, ব্যাগ, পাপোশের দোকান। আগুনের সামান্য ফুলকিতেই পুরো বাজার জ্বলে যেতে পারে। শ্যামবাজার থেকে হাতিবাগানের দিকে যত এগনো যায়, এমন ত্রিপল দিয়ে মোড়া স্টলের সংখ্যাও বাড়ে।
ধর্মতলায়ও একই অবস্থা। পার্ক স্ট্রিটের ক্রসিং থেকে টিপু সুলতান মসজিদ পর্যন্ত একদিকের ফুটপাত এভাবেই হকারদের দখলে। ফুটপাতে তাঁদের স্টলের পিছনেই আবার বড় বড় স্থায়ী দোকান। একইভাবে এখানকার সিংহভাগ স্টলও বন্ধ করার পর ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। তাই বিপদ এখানেও। ধর্মতলা চত্বরের নামকরা একটি রেস্তরাঁর সামনেও একই অবস্থা। সেখানকার এক কর্তা বলেন, হকাররা ব্যবসা অবশ্যই করবেন। কিন্তু কিছু নিয়ম তো মানতে হবে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন জানিয়েছেন, হকারদের অনুরোধ করা হবে, দাহ্য ত্রিপল দিয়ে স্টল যেন তৈরি না করেন। কিন্তু এখনই অনুরোধের বাইরে গিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছেন না তাঁরা। তিনি বলেন, আগে আমরা অনুরোধ করে দেখি। হকার সংগ্রাম কমিটির এক নেতা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো হকারদের বসার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করলেই সমস্যা মিটে যাবে। ২০১৪ সালে এই আইন সুপ্রিম কোর্টে পাশ হলেও সেই অনুযায়ী কলকাতায় টাউন ভেন্ডিং কমিটি তৈরি হয়েছে মাস দেড়েক আগে। তারা কতদিনে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার।