পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঘটনাস্থল গড়িয়াহাট মোড়ের পাঁচতলা গুরুদাস ম্যানসন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, আগুন লাগে রাত পৌনে একটা নাগাদ। ১০ মিনিটের মধ্যে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যানসনের ১৬১এ এবং ১৬১বি ঠিকানার সামনের দিকে একের পর এক ঘর ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হতে থাকে। আগুনের তীব্রতায় ওই অংশগুলির দেওয়ালেও ফাটল ধরতে থাকে। রাতভর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আবাসিক এবং বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহুতলের নীচে থাকা ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলি, আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের মতো নামজাদা শাড়ির বিপণিগুলি সম্পূর্ণভাবেই আগুনের গ্রাসে চলে যায়। দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন রাতভর আগুন নেভানোর কাজ চালায়। দমকল কর্তাদের কথায়, আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০-১৫ কোটি টাকা ছাড়াবেই। বহুতলের একতলায় থাকা ১৬টি দোকান ছাড়াও ফুটপাতে থাকা ৪৯টি ডালাও ছাই হয়ে গিয়েছে। ট্রেডার্স অ্যাসেমব্লির অন্যতম মালিক মানবেন্দ্র সাহা বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে ব্যবসা এত বছর ধরে দাঁড় করিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। তবে তিনি স্বীকার করেন, দোকানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না। তিনি তা করে উঠতে পারেননি।
দমকলের ডিজি জগমোহন জানিয়েছেন, বিপণিগুলির ভিতরে শাড়ি এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ঠাসা অবস্থায় থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের কর্মীরা জানালেন, ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলি এবং অন্যান্য দোকানের গাড়িবারান্দাগুলিতে যেভাবে মালপত্র রাখা হয়েছিল এবং ‘অবৈধভাবে’ বড় বড় হোর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভেঙে বা কেটে আগুন নেভাতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাছাড়া গোটা বাড়ি এবং আশপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় ভিতরে ঢুকে উৎসস্থলে পৌঁছতেও অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। বাগরির মতো এ ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ছোট ছোট অংশে আগুন জ্বলতে থাকায় পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছিল। গুরুত্ব বুঝে আনা হয় হাইড্রলিক ল্যাডার। পাশ দিয়ে গড়িয়াহাট উড়ালপুলে উঠেও জ্বলতে থাকা চার ও পাঁচতলায় জল দিতে থাকেন দমকলের কর্মীরা।
দমকলমন্ত্রী বলেন, এভাবে জতুগৃহ করে ব্যবসা করা যায় না। বেআইনি নির্মাণের জন্যই আগুন নেভাতে অসুবিধা হয়েছে। এরা ব্যবসা নিয়ম মেনে করছে না। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ করার পর ফরেন্সিক দলের শীর্ষকর্তা ডঃ ওয়াসিম রেজা বলেন, প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিটের কারণে কোনওভাবে আগুন লেগেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তারে ত্রুটি পেয়েছি। নিজস্ব চিত্র