বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এ বিষয়ে রবিবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণের নোডাল অফিসার তথা এনআরএস-এর ডেপুটি সুপার ডাঃ দ্বৈপায়ন বিশ্বাস বলেন, প্রীতম অত্যন্ত ভালো ছাত্র। একইসঙ্গে অসম্ভব ভালো মার্শাল আর্টও শিখছে। যতটুকু জানি তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার কেউ সেটি হাতেকলমে কাজে লাগাল।
ক’দিন বাদেই ব্ল্যাক বেল্টের পরীক্ষায় বসতে চলা নদীয়ার নাকাশিপাড়ার জুনিয়র ডাক্তার প্রীতমের কাছে ঘটনার কথা জানতে চাইলে ঠান্ডা, শান্ত গলায় বলেন, নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে কখন যে ‘পাঞ্চ’ ছুটে গেল, টেরও পাইনি। দ্বিতীয়বার অক্সিজেন সিলিন্ডার মাথায় লাগার আগেই নিচু হয়ে গিয়েছিলাম। সেটি রোগীর বাড়ির এক আত্মীয়েরই পায়ে লাগে। তবে নিশ্চিতভাবে বলব, পেরিফেরাল অ্যাওয়ারনেস বেড়েছে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতা বেড়েছে তাইকোন্ডো শিখে। মার দেওয়া নয়, মার বাঁচানোর বোধশক্তিও বেড়েছে। একটাই অনুরোধ প্রীতমের, মানুষ দোষগুণে ভরা। রোগীর বাড়ির লোকজন-চিকিৎসক, দু’পক্ষই সংযত হোন।
কী বলছেন এনআরএস-এ প্রায় ৭০ জন ডাক্তার, শিক্ষক, টেকনোলজিস্টদের তাইকোন্ডো প্রশিক্ষক গ্র্যান্ডমাস্টার ‘ফিফথ ডান’ প্রদীপ্তকুমার রায়? রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, তাইকোন্ডা বিনয়ী করে, পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে আনে। প্রীতম যা করেছে, তা না করলে ও বাঁচত না। এই প্রশিক্ষণ এমনই, মানুষের প্রতিবর্ত ক্রিয়া বেড়ে যায়। দৃষ্টিপথের বাইরের কিছু বিপদে ফেলতে চাইলে, সেই বোধও অনেকটাই বাড়ে।
ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। ট্যাংরার বাসিন্দা স্ট্রোক আক্রান্ত এক রোগীকে ইমার্জেন্সিতে আনা হয়। ভর্তির পর তাঁকে তিনতলার মেল মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে দেখার পর চিকিৎসকরা সিটি স্ক্যান করে আনতে বলেন। ফেরার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। অভিযোগ উঠেছিল, মরণাপন্ন রোগীকে দেখতে দেরি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেজন্যই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মুহূর্তে এনআরএস-এর মেল মেডিসিন ওয়ার্ড রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন রোগীর বাড়ির লোকজন ঢুকে পড়ে। হাতের কাছে যে চিকিৎসককেই পায়, তাঁকে উত্তম-মধ্যম দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এসময়ই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খবর পেয়ে প্রীতম আসেন।