নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শনিবার তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ সাফাই করতে নেমে পড়েছিলেন কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের প্রায় দেড় হাজার কর্মী। ওই দিন রাত পর্যন্ত কাজ চালিয়েও পুরো মাঠ সাফাই করা সম্ভব হয়নি। তাই রবিবার সকাল থেকে ফের ময়দান সাফাইয়ে নামেন পুরসভার প্রায় ৫০০ কর্মী। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করার পর ময়দান মোটের উপর সাফসুতরো হয়েছে। তবে শহরের যত্রতত্র মূত্রত্যাগে যে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সমাবেশের পর, সেসব রাস্তার ধারে ব্লিচিং পাউডার বা চুন ছড়ানো হয়নি। ফলে ব্রিগেড সংলগ্ন এলাকা ও রাস্তার ধারগুলি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে এদিনও। কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, আপাতত ময়দান সাফাই করে দেওয়া হয়েছে। তবে মঞ্চ এবং মাঠের বাঁশের ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হলে ফের একবার সাফাইকর্মীরা কাজ করবেন। যাতে মাঠ যেভাবে নেওয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীর কাছ থেকে, সেভাবেই ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়। শনিবারের মতো এদিনও মাঠ সাফাই করতে পুরসভা মুভেবল কমপ্যাক্টর, হাইড্রলিক ডাম্পার, মেকানিক্যাল সুইপার ব্যবহার করে। যতগুলি ডাস্টবিন রাখা হয়েছিল ব্রিগেড মাঠে এবং সংলগ্ন রাস্তার পাশে, সেসব সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এদিনই।
তবে কয়েকদিন পরই বামফ্রন্টের ব্রিগডে সমাবেশ। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বিজেপি এই ময়দানে সমাবেশ ডেকেছে। ফলে টানা কয়েক সপ্তাহ ময়দানের হাল আগের চেহারায় ফিরবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরসভার কর্মীরা যেভাবে কাজ করেছেন, তাতে অবশ্য সমাবেশের সময়ে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে থাকা থার্মোকলের অজস্র পাত্র থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের প্যাকেট সেভাবে পড়ে নেই ময়দানে।
রবিবার বিকেলের দিকে ব্রিগেড ময়দানে গিয়ে দেখা গেল, মাঠ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মাঠে বাঁশের কাঠামো, লাউডস্পিকার খোলার কাজ চলছে জোরকদমে। তবে মূল মঞ্চ এবং আশপাশের ছোট মঞ্চগুলি খোলার কাজে হাতই লাগানো হয়নি। এক কর্মী বলেন, মূল মঞ্চর সাইজ এত বড় যে পুরোটা খুলতে আরও দিন তিনেক সময় লেগে যেতে পারে। ধরুন, এটা খোলা হবে, আর পরের ব্রিগেডের মঞ্চ বাঁধার বাঁশ এসে পড়বে। তিনি জানান, মঞ্চ বাঁধতে পেরেক বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয়নি। ফলে বিপজ্জনক কিছু মাঠে পড়ে থাকার আশঙ্কাও নেই।