গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ব্রিগেডে জায়গা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার জন্য শনিবার সকাল ৮টা থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন, হাজরা মোড়, বন্দর, শ্যামবাজার, সল্টলেক—মূলত এই পাঁচটি এলাকা থেকে দফায় দফায় মিছিল করে ব্রিগেডের দিকে আসতে শুরু করে। মূলত, উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল করে দলে দলে ব্রিগেডের দিকে রওনা হয়। ফলে শিয়ালদহ, মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড, ধর্মতলা যানজটে থমকে যায়। এই যানজটের প্রভাব পড়ে বেলেঘাটা মেন রোড, সিআইটি রোড, এজেসি বোস রোড, লেনিন সরণী, এপিসি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়। ফলে সেই সব রাস্তাও যানজটের কবলে পড়ে। এদিন শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে বা স্টেশন থেকে গন্তব্যে ফিরতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
আবার পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার মতো দক্ষিণবঙ্গের জেলা থেকে আসা শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের মিছিল হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ, ব্রাবোর্ন রোড, বড়বাজার হয়ে ব্রিগেডে আসে। ফলে স্ট্র্যান্ড রোড, এমজি রোড সংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজট হয়। এদিন যানজটের হাত থেকে রেহাই পায়নি বিদ্যাসাগর সেতুও। এরফলে দূরপাল্লা ট্রেনের যাত্রীরা হাওড়া যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়েন।
তেমনই দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড় থেকে তৃণমূলের মিছিল আশুতোষ মুখার্জি রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট হয়ে ব্রিগেডে ঢোকে। ফলে এই রাস্তাগুলিতেও যানজট হয়। উত্তর কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর, সোদপুর, আগরপাড়ার মতো এলাকা থেকে আসা মিছিল বিটি রোড ধরে শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ব্রিগেডে আসে। ফলে বিবেকানন্দ রোড, গিরিশ পার্ক, এপিসি রোড, বউবাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিটের মতো মধ্য কলকাতায় ব্যাপক রাস্তায় যানজট হয়।
কলকাতার বন্দর এলাকা থেকে তৃণমূলের মিছিল আসে খিদিরপুর, হেস্টিংস হয়ে ময়দানে। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক থেকে একাধিক মিছিল পার্ক সার্কাস হয়ে ময়দানে আসে। পাশাপাশি, এদিন কলকাতার ‘লাইফ লাইন’ মেট্রো রেলও ছিল ভিড়ে ঠাসা। ধর্মতলায় নির্ধারিত বাস টার্মিনাস থেকে দূরপাল্লার বাস না পেয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেককে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে পথে নামা জনতাকে ভুগতে হয়েছে বারেবারে।
শিয়ালদহ, ধর্মতলা, ব্রিগেড, ময়দান চত্বর বাদ দিলে শহরের বাকি অংশে এদিন বেসরকারি বাস-মিনিবাসের দেখা মেলেনি। রুটে অটো ছিল হাতেগোনা। পথে নামেনি টোটোও। সব মিলিয়ে শহরের বাকি অংশে যেন বন্ধের দুপুরে ছবি ধরা পড়েছে।