কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রামুয়ার ছেলে সমীরের বন্ধু হচ্ছে শ্যামসুন্দর। ক্লাস টেন পর্যন্ত তারা একসঙ্গে পড়াশুনা করেছিল। শ্যামসুন্দরের বন্ধু হচ্ছে প্রশান্ত। সে দুর্গাপুরে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আর বিশালও শ্যামসুন্দরের বন্ধু। কী করে রামুয়াকে খুন করা হল? শনিবার দুপুরে খড়দহ থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, সমীর তার বন্ধু শ্যামসুন্দরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল। বাকি দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় শ্যামসুন্দরই। ঘটনার দিন তিনজনে বিশাখাপত্তনম থেকে কলকাতা এয়ারপোর্টে নামে। সেখান থেকে ক্যাব বুক করে সোদপুরে অমরাবতী মোড়ের কাছে দক্ষিণায়ন ঋষি অরবিন্দ সরণীর রামুয়ার ফ্ল্যাটে যায়। ফোনে সমীরকে তারা মিসড কল দেয়। সে নীচে নেমে এসে দরজা খুলে দেয়। রামুয়া মদ্যপ অবস্থায় ঘুমিয়ে ছিল। ফলে ঘরের মধ্যে কে ঢুকল, তা সে টের পায়নি। রামুয়ার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই তাকে কানের নীচে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর তারা চলে যায়। বিনিময়ে তারা টাকা নিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তাদের কাছে থেকে ইতিমধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া ৩০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ সুপারি কিলার রয়েছে? তিনি বলেন, প্রশান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। বাকি দু’জনের সম্পর্কে আমরা বিশদে এখনই কিছু জানি না। কত টাকার বিনিময়ে এই কাজ তারা করেছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
রামুয়ার বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি সহ একাধিক মামলা চলছিল। সেই মামলা চালাতে গিয়ে স্ত্রী জেরবার হয়ে উঠেছিল। আর স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করে রামুয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছিল। পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। ফলে রামুয়ার উপর স্ত্রী, ছেলে দুজনেই তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল। রামুয়ার হাত থেকে তারা মুক্তি পেতেই এই খুনের ছক কষেছিল। খুনের পর নিজেরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। যার জন্য ঘটনার পর তারা পুলিসকে কোনও কিছু জানাতে চায়নি। এমনকী, পুলিস অন্য একটি সূত্র ধরে তাদের আবাসনে আসলেও, রামুয়ার খুনের বিষয়ে প্রথমে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। পরে ১১ জন মুখে ঢেকে হামলা চালানোর মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল।