গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার হাওড়া স্টেশনে সকাল ৮টা থেকেই ট্রেনে করে বর্ধমান, হুগলি ও বীরভূমের লোকজন আসতে শুরু করেছেন। সকাল ৯টায় হাওড়া স্টেশন কার্যত তৃণমূল কর্মীদের দখলে চলে যায়। হাজার হাজার কর্মী তখন গঙ্গা পার হয়ে বাবুঘাটে যাওয়ার জন্য হাওড়া লঞ্চঘাটে লাইন দিয়েছেন। কিন্তু, লঞ্চঘাটে ভিড় অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় পুলিস বাধ্য হয়ে লঞ্চঘাটের গেট কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। স্টেশন থেকে বের হওয়া লোকজনকে তখন হাওড়া ব্রিজ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া ব্রিজ, বড়বাজার, ব্র্যাবোর্ন রোড হয়ে তাঁদের ব্রিগেড পাঠানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, লঞ্চঘাটে এতই ভিড় হয়েছিল যে, বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। একটি করে লঞ্চ আসছে, আর হাজার হাজার মানুষ ওই লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেছেন। কিছুক্ষণ গেট বন্ধ করে অবস্থা সামাল দিতে হয়েছে। অবশ্য চাপ কমতেই ফের গেট খুলে দেওয়া হয়।
একদিকে যখন এই অবস্থা, তখন কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজায় চাপ ভয়ঙ্কর ছিল। এদিন টোলপ্লাজায় কলকাতামুখী পাঁচটি লেন খুলে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও ব্রিজের উপর গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যাওয়ায় কলকাতামুখী লেনে গাড়ির লাইন লেগে যায়। সভা যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, তখনও কয়েকশো গাড়ি টোলপ্লাজার আগে দাঁড়িয়ে। টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ এদিন যে হিসেব রেখেছে, তাতে সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে ৯ হাজার ৪৫৬টি বাস ও ১ হাজার ৬৫৯৮টি ম্যাটাডর পার হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক চারচাকার গাড়ি ও বাইক গিয়েছে। পুলিস কর্তারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক অতীতে টোলপ্লাজা দিয়ে একদিনে এত গাড়ি যায়নি। পুলিস জানিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনার খবর নেই।