নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কুকুর কাণ্ডে এনআরএসের দুই নার্সিং ছাত্রী সোমা বর্মন এবং মৌটুসী মণ্ডল বুধবার জামিন পেলেও বিচারক শর্ত বেঁধে দেওয়ায় তাঁদের জেল হেফাজতে যেতে হয়। শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক শুভদীপ রায়ের কাছে জামিনের শর্ত শিথিল করার আর্জি জানান ওই দুই ছাত্রীর আইনজীবী দুলাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জামিনের জন্য স্থানীয় জামিনদারের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই রেজিস্টার্ড জামিনদারের মাধ্যমে জামিন দেওয়া হোক। এরপরই বিচারক সহজ শর্তে ওই দুই অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেন। কোর্টের ওই নথি জেলে পৌঁছলে এদিন বিকেলে জেল থেকে ওই দুই নার্সিং ছাত্রী মুক্তি পান। দুই ছাত্রীর মুক্তির দাবিতে এদিনও নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রচুর ছাত্রী আদালত চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন। মুক্তি পাওয়ার পর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নার্সিং হস্টেলে। সেখান থেকে তাঁদের বাড়ি যাওয়ার কথা।
এদিকে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে হুমকি পেয়েছেন বলে জানালেন এনআরএসের ডেপুটি সুপার ডাঃ দ্বৈপায়ন বিশ্বাস। তিনি ফেসবুকে নিজের পেজে লিখেছেন, বৃহস্পতিবার যে ঘটনা তাঁর সঙ্গে ঘটেছে, তা অতীতে কখনও হয়নি। একজন সুপার, ডেপুটি সুপার, নার্সিং সুপারকে ঘিরে ধরে যেভাবে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে, তা নজিরবিহীন। তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নার্সিং ছাত্রী মুক্তি পাওয়ার পর আন্দোলন কার্যত বন্ধ করেন নার্সিং পড়ুয়ারা। তাঁরা একে একে ক্লাসে যোগ দিয়েছেন। ফলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।