পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতার দূরবর্তী জেলার মানুষ বৃহস্পতিবার থেকে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার সকালে হাওড়া-শিয়ালদহে এক-একটি দূরপাল্লার ট্রেন থেকে কাতারে কাতারে মানুষ নেমেছেন সমাবেশে যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে। তাঁদের থাকা-খাওয়া-ঘুমোনোর যাবতীয় সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র এবং কসবার রাজডাঙা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কমবেশি ২০ হাজার মানুষের থাকা-খাওয়া-ঘুমোনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২১শে জুলাই তৃণমূলের সভার আগে এখানে স্টেডিয়ামের দু’টি হলঘর এবং বারান্দায় প্রচুর মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হতো। এবার দেখা গেল, তার পাশাপাশি আরও দু’টি বিশাল তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। নীচে বিছানো হয়েছে কার্পেট। বাইরের ঠান্ডা যাতে ‘অতিথি’ সমর্থকদের কোনওভাবেই কাবু করতে না পারে, তারজন্য নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। এই ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুশান্তকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, জুম্মার নামাজের জন্য যাঁরা মসজিদে যেতে চেয়েছেন, তাঁদের আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা হালতু বা রাজডাঙার মসজিদে নিয়ে গিয়েছেন। এই ব্যবস্থাপনায় তাঁরা যথেষ্টই খুশি। ইতিমধ্যে এখানে এসে পড়েছেন মালদহের রতুয়ার আশুটোলা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ মোসলেম, ইনসারুল হক সহ প্রায় ৫০ জন। ইনসারুল বলেন, নামাজের জন্য এতটা সুব্যবস্থা থাকবে, আশা করিনি। এটা আমাদের দল তৃণমূলই ভাবতে পারে। এখানে মূলত মালদহ ও মুর্শিদাবাদের দলীয় সমর্থকরা রয়েছেন। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের শিবনগর গ্রামের আজিজুর রহমান পেশায় পার্শ্বশিক্ষক। তিনি বলেন, থাকা-খাওয়া বা ঘুমানোর কোনও সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার রাতে এসেছি এলাকার ২২ জনকে নিয়ে। তাঁরা দুপুরে খেয়েদেয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছে। কাল সকালেই সবাই মিলে ব্রিগেডের লক্ষ্যে বেরিয়ে পড়ব।
ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে মূলত পুরুলিয়া এবং দুই দিনাজপুরের সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, খাওয়াদাওয়া শেষ করে বেশিরভাগ কর্মীই ভিক্টোরিয়া, ময়দান চত্বর, সৌন্দর্যায়িত গঙ্গাপাড়ে ঘুরতে চলে গিয়েছেন। রান্নার জায়গায় কাজ করছেন জনা পনেরো কর্মী। তাঁদেরই একজন জানালেন, এখানে রাতেই বেশি মানুষ ঢুকবেন। তাই এখন থেকেই রান্নার কাজ শুরু করে দিয়েছি। হাজার হাজার ডিম সিদ্ধ করা হচ্ছে। আলু-ফুলকপির তরকারি তৈরি। এখানে সকাল থেকেই তদারকি চালাচ্ছেন মন্ত্রী তাপস রায় এবং বড়বাজার এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার বিজয় উপাধ্যায়। তাঁরা জানান, ১৫ হাজার মানুষের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি আমরা। তবে যা বুঝতে পারছি, সব হিসেব ছাড়িয়ে যাবে।