কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে অশান্তি, গণ্ডগোল অব্যাহত রয়েছে। কুকুর খুনে অভিযুক্ত দুই ছাত্রী মৌটুসী মণ্ডল ও সোমা বর্মনকে নার্সিং স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে—এমন গুজব রটে যায় বৃহস্পতিবার। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সেই ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি পড়ে। নার্সিং ছাত্রীদের দাবিদাওয়া শুনতে এদিন বিকেলে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এনআরএসের তদন্ত কমিটির প্রধান ডাঃ দ্বৈপায়ন বিশ্বাস, সুপার ডাঃ সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, নার্সিং সুপার মণীষা ঘোষ প্রমুখ। সেই বৈঠকে পরিষ্কার করে ছাত্রীদের জানানো হয়, আইনি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই অভিযুক্ত ছাত্রীকে বরখাস্তের প্রশ্ন আসে না। এত অবধি সব ঠিকই ছিল। এলএলটি লেকচার থিয়েটারে বৈঠক যখন শেষের দিকে, এসইউসিপন্থী প্রায় দেড়শো নার্সিং ছাত্রী সেখানে ঢুকে পড়েন। ডাঃ বিশ্বাসের দিকে তাকিয়ে তাঁদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, এই তো সেই লোকটা! বলেই সুপার এবং ডেপুটি সুপারকে টানা হ্যাঁচড়া করা হয় বলে অভিযোগ। ফের ধুন্ধুমার বাধে হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া পুলিস হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। সুপার, ডেপুটি সুপারকে পুলিস গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তখন ছাত্রীদের ক্রোধ আছড়ে পড়ে পুলিসের গাড়ির উপর। নার্সিং সুপারকেও পুলিস নিরাপদে বের করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে এসইউসি’র নার্সিং সংগঠনের শীর্ষ নেত্রী পার্বতী পাল বলেন, তিনজন নার্সিং ছাত্রীকে এই ঘটনা থেকে রেহাই দিয়েছে। ওই দুই অভিযুক্ত ছাত্রী জামিন পেলে তাদের হস্টেলে ঢোকার অনুমতিও মিলেছে।