কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, সোদপুরের অমরাবতীর দক্ষিণায়ন এলাকার ঋষি অরবিন্দ সরণীর একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল তার স্ত্রী। সেখানে তার স্ত্রী এবং আট বছরের মেয়ে থাকত। রামুয়াও আসত। তার ছেলে বিশাখাপত্তনমে এমবিএ পড়ছে। গত রবিবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে গুলিতে খুন হয় রামুয়া। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার পর তার স্ত্রী প্রথমে বলেনি নিহত ব্যক্তিই সেই কুখ্যাত ত্রাস রামুয়া। প্রায় দু’ঘণ্টা পর রামুয়ার আসল পরিচয় জানা গিয়েছিল।
পুলিস জানিয়েছে, সোমবারই ওই ফ্ল্যাট সিল করে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে বালিশ, চাদর ও কম্বল উদ্ধার করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও আসতে বলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল সোদপুরের ফ্ল্যাটে যায়। যেহেতু সোমবার থেকে ফ্ল্যাট সিল করা হয়েছিল, তাই মেঝেতে এখনও শুকনো রক্ত পড়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সেই শুকনো রক্তের নমুনা নেন। সেই সঙ্গে ওই ফ্ল্যাট থেকে বেশকিছু হাতের ছাপেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিস যে চাদর, কম্বল ও বালিশ সংগ্রহ করেছিল, তারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রামুয়ার কানের দিকে গুলি করা হয়েছিল। কিন্তু যে পিস্তল দিয়ে তাকে খুন করা হয়েছিল এখনও সেই পিস্তলটি উদ্ধার হয়নি। এমনকী, বুলেটের খোলও পাওয়া যায়নি। বালিশের মধ্যে কিংবা কম্বলে সেই খোল আটকে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, খুনের দিন তাকে কারা কারা ফোন করেছিল, তদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই খুনের দিন কললিস্ট দেখা হচ্ছে। তাছাড়া, রামুয়ার সঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ার কারা কারা যোগাযোগ রেখেছিল, কী কারণে রেখেছিল, কী কথা হত এই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।