পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যদিও দলীয় সূত্রের দাবি, সংখ্যাটা ৫০ হাজারও টপকে যেতে পারে। সুজিতবাবু জানিয়েছেন, মালদহ বাদে উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার কর্মী-সমর্থকদের সেন্ট্রাল পার্কে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিয়ালদহ, কলকাতা এমনকী হাওড়া স্টেশনেও কোনও কর্মী-সমর্থক এলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দলের নিযুক্ত ভলান্টিয়াররা তাঁদের বাসে করে সেন্ট্রাল পার্কে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বুধবার বিকেল থেকেই এই কর্মী-সমর্থকরা আসা শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় আট-ন’ হাজার কর্মী-সমর্থক সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে চলে এসেছেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাতের মধ্যেই আরও সাত-আট হাজার কর্মী-সমর্থক সেখানে চলে আসবেন। শুক্রবার সকালের মধ্যে বাকিরাও পৌঁছে যাবে। আপাতত ৩০-৩৫ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে। প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে বলেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সুজিতবাবু আরও জানিয়েছেন, দলীয় কর্মীদের জন্য দিনে চারবেলা করে ভাত-ডাল, সব্জি-তরকারি এবং ডিমের ঝোলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি যেহেতু সল্টলেকের ওই মাঠে প্রবল ঠান্ডা থাকবে, রাতে সেখানে যাতে কারও থাকতে কষ্ট না হয়— তাই তাঁদের জন্য কম্বলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য শিবিরও খোলা হয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি, কর্মী-সমর্থকরা এখানে আসার পর প্রথমে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করানো হবে। তারপরে জেলাভিত্তিতে তাঁদের বিভিন্ন তাঁবুতে রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। মাঠের এক কোণে স্নান-বাথরুম-খাওয়ারও আলাদা আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার মাঠে খাবারের দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, বৃহস্পতিবার যত কর্মী-সমর্থক ছিলেন, তাঁরা মোটামুটি তিনবেলার মতো খেয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রায় ৪০ হাজার প্লেট রান্না করা হয়েছে। তবে শুক্রবার যেহেতু প্রায় সব¬ কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছে যাবেন, সেক্ষেত্রে প্রায় সারাদিনে চারবেলা করে রান্নার হিসেব ধরলে দেড় লক্ষ প্লেট রান্নার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও যাঁরা ব্রিগেড শেষে ফিরতে পারবেন না, তাঁদের জন্য শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালেও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে সেন্ট্রাল পার্ক মাঠে। এদিকে, এত মানুষ যেহেতু সল্টলেকে একসঙ্গে এসে থাকছেন, তাই তাঁরা যাতে কোনওভাবে ভুল কাজ না করে— সেবিষয়েও তাঁদের বারবার এদিন সতর্ক করা হয়েছে মাঠ থেকে।
যেখান সেখান দিয়ে রাস্তা পারাপার করবেন না, পুলিসি নির্দেশ মেনে চলুন, যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলিবেন না, ট্রাফিক পুলিসের কাজে সহযোগিতা করুন— প্রতি মুহূর্তেই সেন্ট্রাল পার্কে আসা কর্মী-সমর্থকদের এভাবেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মেলা মাঠে ঘোষণার মাধ্যমে। এবিষয়ে এক নেতা বলেন, ব্রিগেডে এত মানুষের সমাবেশ, তা সত্ত্বেও শহর যাতে কোনওভাবে নোংরা না হয় এবং কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়— সেই কারণেই এরূপ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, আগামী ১৯ জানুয়ারি শুধুমাত্র বিধাননগর বিধানসভা এলাকা থেকে একাধিক ছোট-বড় মিছিল ছাড়াও প্রায় ২০০টি বাসে করে কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেডের উদ্দেশে যাবে বলে সুজিতবাবু জানান। অন্যদিকে, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে আসা প্রায় ২০ হাজার কর্মী-সমর্থকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ।