কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হাওড়ার পুলিস কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, মূলত তামান্না, পোলার্ড ও আরও দু’জনের সঙ্গে সন্ধ্যাতেই গুড্ডুর গোলমাল হয়। তারপর তারা রাতে পরিকল্পনা করে গুড্ডুকে খুন করে। ধৃতরা জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছে। বাকি দুই অভিযুক্তকেও শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রামুয়ার ভয়ে গুড্ডু দীর্ঘ কয়েকমাস এলাকায় ঢুকতে পারত না। গত নভেম্বর মাসে গুড্ডু হাওড়ায় এলেও পুলিস তাকে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করে। তারপর কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করে। কিন্তু, রবিবার রাতে রামুয়া খুন হওয়ার খবর পাওয়ার পরই গুড্ডু সোমবার হাওড়ায় ফেরে। সেই মতো সে তার পুরানো লোকজনকে নিয়ে সোমবার রাতে বৈঠকও করে। রামুয়ার অনুপস্থিতিতে সে হাওড়ায় সাম্রাজ্য বিস্তারের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু রামুয়ার লোকজন এখনও হাওড়ায় সক্রিয় রয়েছে। রামুয়ার সাম্রাজ্য চালাচ্ছে তারই এক ঘনিষ্ঠ, এমনই খবর পুলিসের কাছে আছে। গুড্ডুকে সোমবার রাতে রামুয়ার লোকজন দেখতে পায়। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবপুর চড়াবস্তি এলাকায় একটি ধর্মীয় জলশা ছিল। সেখানে গুড্ডু ১০০ টাকার নোটের বান্ডিল ওড়াতে থাকে। তা নিয়ে প্রথমে তামান্না, পোলার্ডদের সঙ্গে তার বচসা বাধে। কিন্তু গুড্ডুর লোকজন সেখানে থাকায় তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু গুড্ডু কখন একা হবে, তার অপেক্ষায় ছিল তামান্নারা।
এরপর গভীর রাতে তামান্নারা খেয়াল করে গুড্ডু মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার ধারে একা পড়ে আছে। তখনই তারা গুড্ডুকে চপার দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করে একটি ভ্যানে করে মৃতদেহ সন্ধ্যাবাজারে এনে ফেলে দিয়ে যায়। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন গলার নলি কাটা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। হাওড়া থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিস সন্ধ্যাবাজার, ফজির বাজার, অলোকা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জিটি রোডে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। দেখা যায় মৃতদেহটি চড়াবস্তির দিক থেকে আনা হচ্ছে। এরপর পুলিস চড়াবস্তি এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। তখনই পুলিস জানতে পারে, এই চারজন গুড্ডুকে খুন করেছে। তারপর দুপুরেই তামান্নাকে পুলিস আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস পোলার্ডের খোঁজ পায়। আরও দু’জনের নাম পায় পুলিস। সেইমতো তাদের খোঁজেও পুলিস তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে পুলিস জানিয়েছে, মূলত গুড্ডু এলাকার দখল নিতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই রামুয়ার ওই ঘনিষ্ঠরা তাকে খুন করেছে।