কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কৃষি বিপনণমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবস্থাকে নির্মূল করতে পরীক্ষামূলকভাবে জাইকার আর্থিক সহায়তায় সিঙ্গুরে প্রথম সৌরশক্তি চালিত ওয়্যার হাউস বা সংরক্ষণ কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রথম দু’মাস জাপানের ওই সংস্থা পরীক্ষামূলকভাবে কক্ষটি চালাবে। পরে তা আমাদের দপ্তরকে হস্তান্তর করবে। তবে কীভাবে এই কক্ষটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে আমাদের কর্মীদের এক বছর ট্রেনিং দেবে ওই সংস্থার কর্মীরাই। এই প্রকল্পটি সফল হলে চলতি বছরেই ফাঁসিদেওয়া ও ধূপগুড়িতে আরও দু’টি প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃষিবিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করলেও, মধ্যস্বত্বভোগীরা চাষিদের কাছ থেকে ফসল কম দামে কিনে নিয়ে তা থেকে মুনাফা লোটে। এই প্রথা বন্ধ করতে কৃষি বিপণন দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ও শহরে সুফল বাংলার স্টল তৈরি করছে। চাষিদের কাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য কিনে সেগুলি সরাসরি সুফল বাংলার স্টল থেকে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত সব্জির সঠিক দাম সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও নায্যমূল্যে তা কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে যে পরিমাণ সব্জি উৎপাদন হয়, তা যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। কিছু সব্জি হিমঘরে রাখার ব্যবস্থা করা হলেও, সেগুলি বের করার পর দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই সমস্যা মেটাতে জাইকার আর্থিক সহায়তায় ও সেখানকার একটি কোম্পানি তাপমাত্র নিয়ন্ত্রিত শস্য সংরক্ষণ কক্ষ তৈরি করছে। যার তাপমাত্রা সবসময় ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। এজন্য সংরক্ষণ কক্ষের ছাদের উপর সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। ফলে সংরক্ষণ করার জন্য ব্যয়ও অনেক কম হবে। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকায় ওই ঘর থেকে বের করা সব্জি দীর্ঘক্ষণ বাইরে রাখলেও তা নষ্ট হবে না। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের এই কৃষকবাজার সংলগ্ন এলাকার চাষিদের কাছ থেকে সব্জি সংগ্রহ করে তা জেলা সহ কলকাতার বিভিন্ন সুফল বাংলার স্টলে সরবরাহ করে কৃষি বিপণন দপ্তর। পাইলট প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল বসানো থেকে শুরু করে সমস্ত টেকনিক্যাল কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি তাপসী মালিক কৃষকবাজার এলাকাকে সাফসুতরো করে নীল-সাদা রং করা হয়েছে।