পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারাসত শহরে জেলাশাসকের অফিসের পাশেই এই হাতিপুকুর অবস্থিত। কিন্তু পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হাতিপুকুর মজে গিয়েছিল। আবর্জনা জমতে জমতে পুকুরের জল কালো হয়ে দুর্গন্ধ বের হতো। এই হাতিপুকুরের সঙ্গে সিরাজদৌল্লার স্মৃতিও জড়িয়ে রয়েছে। অনেকে বলেন, সিরাজদৌল্লা এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর হস্তী বাহিনীকে এখানেই বিশ্রাম দিতেন। এই পুকুরেই হাতিরা জল খেত বলে নাম হয়েছে হাতিপুকুর। আড়াই বছর আগে বারাসতের সংসদ সদস্য ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার এই হাতিপুকুর সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যানের কাজের শুভারম্ভও করেন। নিজের সংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানও দেন। মাত্র আড়াই বছরের মধ্যেই কাজ হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন উপলক্ষে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল। ভিতরে ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তার জেরে সাময়িক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
এই উদ্যানকে অভিনব ভাবনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঢোকার মুখে সুন্দর তোরণ তৈরি করা হয়েছে। ভিতরে সিরাজের মডেল, বড় বড় হাতি ও ঘোড়ার মডেল, তাদের পিঠে তলোয়ারধারী সৈন্যদের মডেলও করা হয়েছে। হাতিপুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ রয়েছে। সেখানে একটি ৩০০ বছরের প্রাচীন গাছ ছিল। সেই গাছটি মারা গিয়েছে। সেখানে খোদাই করে বুড়ো দাদুর মুখ তৈরি করা হয়েছে। তাঁর মুখ দিয়েই গল্প শোনানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দ্বীপের উপর প্যাগোডা এবং দ্বীপের একপাশে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা ১৫ জানুয়ারি থেকে এই উদ্যান জন সাধারণের জন্য খুলে দেব। রবিবার ও সোমবার এই দু’দিন আমাদের একটু আলোচনা করতে হবে। কত টাকা প্রবেশ মূল্য হবে এবং রাইডের জন্য কত টাকা করে দিতে হবে। কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হবে ইত্যাদি। তিনি বলেন, এখানে ঢোকার জন্য আনুমানিক ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্য চালু করা হবে। যাঁরা শিকারা বোটে চাপবেন কিংবা ট্রয় ট্রেনে ভ্রমণ করবেন তাঁদের ওই রাইডের জন্য আলাদা আলাদা টিকিট কাটতে হবে। তবে কোনও রাইডের মূল্য ২০ টাকার বেশি হবে না।