বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের জ্যোতির মোড়ে জিটি রোডের উপর পাম্পের সামনেই পরপর বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। যারমধ্যে শুক্রবার রাতে চোরেরা সুশোভন কর্মকার ও সৌমেন অধিকারী নামে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি করে। পাশাপাশি একটি কাপড়ের দোকান, একটি ঘড়ির দোকান ও একটি কসমেটিক্সের দোকানের তালা ভেঙে চুরিও করে তারা। সৌমেনবাবু বলেন, অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করার সময়ে সমস্ত সোনা ও রুপোর গয়না সিন্ধুকে রেখে বাড়ি চলে যাই। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানের সাটারের তালা কাটা দেখে খবর দিলে আসি। দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখি সিসিটিভি ক্যামেরাটি চোরেরা উপরের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। ক্যাশবাক্স ও সিন্ধুক হাট করে খোলা। ভেতরে রাখা নগদ টাকা ও সোনাদানা কিছুই নেই। সৌমেনবাবুর দাবি, নিজের ও খদ্দেরের জমা দেওয়া মিলিয়ে প্রায় ৪০ ভরি সোনা ছিল। বিষয়টি পুলিসকে জানিয়েছি। আর এক সোনার ব্যবসায়ী সুশোভন কর্মকার বলেন, এলাকার মানুষের কাছ থেকে খবর পেয়েই ভোরে চলে আসি। এসে দেখি বাইরের সবকটি তালা কাটা। ভেতরে ঢুকে দেখি গয়না রাখা সিন্ধুক ভাঙা। আমার দোকানে সিসিটিভি লাগানো ছিল। কিন্তু তার হার্ডডিস্কটিও চোরেরা খুলে নিয়ে গিয়েছে। আমরা ছোট ব্যবসায়ী। নিজেদের জিনিস তো গিয়েইছে। কিন্তু কীভাবে খদ্দেরদের জমা দেওয়া জিনিসপত্র ফেরত দেব তা বুঝতে পারছি না। এখন পুলিসই আমাদের শেষ ভরসা। চন্দননগরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পরপর পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনার কথা চাউর হওয়ায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, আগে রাতে পুলিস টহলদারি করত। কিন্তু বহুদিন ধরেই মাঝরাতের পর আর সেভাবে পুলিসের টহলদারি ভ্যান দেখা যায় না। চোরেরা সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে।