প্রেম-প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এদিন সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট ও বাইরের বিভিন্ন বাম ও সহযোগী দল মহামিছিলের কর্মসূচি নিয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা প্রচার চালিয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। ঘোষণামতো বেলা দেড়টা নাগাদ মহাজাতি সদনের সামনে কয়েক হাজার সমর্থককে জড়ো করে প্রথমে সভা করবে উদ্যোক্তারা। সেখানে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম সহ তাবড় বাম নেতারা বক্তব্য রাখবেন। তারপর শুরু হবে মিছিল। মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মহাত্মা গান্ধী রোড, এজেসি বোস রোড, মল্লিকবাজার, পার্ক স্ট্রিট হয়ে সুরাবর্দি অ্যাভিনিয়ে পার্ক সার্কাস ময়দানের সামনে গিয়ে শেষ হবে। বেলা ১১টা নাগাদ পার্ক সার্কাস থেকে একটি মিছিল বের করবে আসাউদ্দিন ওয়েসি’র সংগঠন মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের রাজ্য শাখা। তারা সিআইটি রোড-মৌলালি হয়ে মিছিল নিয়ে যাবে ধর্মতলা পর্যন্ত। প্রায় একসময়ে শিয়ালদহ ও হাওড়া থেকে দু’টি বড় মিছিল বেরবে সংবিধান বাঁচাও সমিতির। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, আম্বেদকর মিশন, ইমাম-মোয়াজ্জিন কাউন্সিল সহ বেশ কিছু সংগঠন যৌথভাবে এই মঞ্চের ব্যানারে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে বলে ঠিক করেছে। তারা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হয়ে সভা করবে। তৃণমূলের এবার কোনও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি নেই। তবে যুব তৃণমূলের উত্তর কলকাতা শাখা এই ইস্যুতে উত্তর কলকাতার স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে ওয়েলিংটন স্কোয়ারে বিধান রায়ের বাড়ি পর্যন্ত একটি মিছিল করবে কলেজ স্ট্রিট-নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট ধরে। এছাড়া এসইউসি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের দশটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দিনভর ধর্না কর্মসূচি পালন করবে। উল্লেখযোগ্য দলগুলির মধ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের মতো এবার কোনও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেনি। তবে বাম শিবির ও কংগ্রেস রাজ্যের বাকি সব জেলায় স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা করার পরিকল্পনা করেছে।
একেই ৬ ডিসেম্বর, তার উপর বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পথে নামার কর্মসূচি। ফলে আজকের দিনটি পুলিশের কাছেও রীতিমতো পরীক্ষার। কলকাতা পুলিস অবশ্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত খোঁজখবর নিয়ে সেইমতো তাদের বন্দোবস্ত যথাসম্ভব আঁটসাঁট করছে। তবে তাদের বেশি মাথাব্যথা শহরের যানবাহন চলাচল কতটা স্বাভাবিক রাখা যায়, তা নিয়ে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ দৈনন্দিন কাজে বেরনো মানুষের দুর্ভোগ কমানোর দিকে তাকিয়ে ট্রাফিক পুলিসকে পর্যাপ্ত বিকল্প ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজার কর্তৃপক্ষের তরফে।